সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
সাকিবের অবসর ভাবনা

‘যখন সময় হবে সবাই জেনে যাবে’

টি-২০ ক্রিকেটে সাকিবের অভিষেক ২৮ নভেম্বর, ২০০৬ সালে খুলনায়। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। এখন পর্যন্ত ১২৮ ম্যাচে রান করেছেন ১৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ২৫৫১ এবং উইকেট নিয়েছেন ১৪৯টি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘যখন সময় হবে সবাই জেনে যাবে’

বয়স ৩৭। ১৮ বছর ধরে ক্লান্তিহীন ক্রিকেট খেলছেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০; তিন ফরম্যাটেই খেলছেন সাকিব। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপেও খেলছেন। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে টানা ৯টি আসরে খেলার বিরল রেকর্ড গড়েছেন। পারফরম্যান্স আহামরি নয়। যদিও আসরে টাইগারদের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান তিনি। কিংস টাউনে নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। বাকি ম্যাচগুলোতে ছন্নছাড়া। বোলিংয়ে বিরল একটি রেকর্ড গড়েন। তারপরও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না বাঁ হাতি স্পিনার। ভারতের কাছে হারের পর প্রশ্নটি ফের উঠেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে কবে বিদায় জানাবেন সাকিব? মিডিয়ার মুখোমুখিতে অবসর নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু সরাসরি কিছু বলেননি। বলেছেন উপভোগ না করলেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। তিনি বলেন, ‘উপভোগ না করলে তো অবশ্যই খেলার বিষয় নয়। তবে এগুলো এখন সময়ের ব্যাপার। যেহেতু সামনে অনেক বড় একটা বিরতি আছে, তারপর টেস্ট ম্যাচই বেশি খেলা হবে, স্বাভাবিকভাবেই মনোযোগ ওদিকেই বেশি চলে যাবে। অবসরের বিষয়টি সময়ের ওপরই ছেড়ে দেই। যখন সময় হবে, সবাই সব জেনে যাবে।’

টি-২০ ক্রিকেটে সাকিবের অভিষেক ২৮ নভেম্বর, ২০০৬ সালে খুলনায়। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। এখন পর্যন্ত ১২৮ ম্যাচে রান করেছেন ১৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ২৫৫১ এবং উইকেট নিয়েছেন ১৪৯টি। টি-২০ বিশ্বকাপে তিনি প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ৫০ উইকেট নেওয়ার বিরল রেকর্ড গড়েছেন। ওয়ানডেতে অভিষেক ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট, হারারেতে। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন বিশ্বকাপে। ২৪৭ ওয়ানডেতে ৯ সেঞ্চুরি ও ৫৬ হাফ সেঞ্চুরিতে ৭৫৭০ রান এবং উইকেট ৩১৭টি। টেস্ট অভিষেক ২০০৭ সালের ১৮ মে, প্রতিপক্ষ ভারত। সর্বশেষ টেস্ট খেলেন চলতি মাচে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ৬৭ টেস্টে তার ৫ সেঞ্চুরি ও ৩১ হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৫০৫ রান করেন এবং উইকেট নেন ২৩৭টি। মঙ্গলবার সকালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক উইকেট পেলেই টিম সাউদির পর টি-২০ ক্রিকেটে ১৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক গড়বেন।

টি-২০ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত উইকেট নিয়েছেন ৬ ম্যাচে ৩টি। রান করেছেন ২২.২০ গড়ে ১১১। পারফরম্যান্স আহামরি নয়। নিজের ছায়া হয়ে খেলছেন। আফগানিস্তান ম্যাচটি সাকিবের শেষ ম্যাচ হতে পারে! একাদশে পরিবর্তন আনলে সাকিবকে বিশ্রামেও দেখা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘এটাই শেষ টি-২০ বিশ্বকাপ কি না, জানি না। পৃথিবীতে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব। সিদ্ধান্ত নেবে ক্রিকেট বোর্ড। আমার নিজেরও ব্যক্তিগত কিছু সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। এগুলো আসলে এখন এখানে আলোচনা করার বিষয় নয়। এগুলো সময়ের সঙ্গে হয়তো আলোচনা হতে পারে।’ সাকিব অবশ্য ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে টি স্পোর্টসে এক সাক্ষাৎকারে। সেই চিন্তা থেকে এখন সরে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘বলছি, তখনকার চিন্তা এখন বদলাতেই পারে। এগুলো নিয়ে আসলে আমি খুব বেশি চিন্তিত নই। অনেক বড় বিরতি আছে সামনে। দলের প্রয়োজনীয়তা ভেবে দেখা যাবে। দল মনে করলে এবং আমি যদি তাড়না অনুভব করি এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে খেলার বিষয় দেখা যাবে।’

সর্বশেষ খবর