সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পেশাদারি মানছেন না ফুটবলাররা!

এমন একজন খেপ খেলেছেন যিনি নাকি ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসে এবার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে একটি দলের সঙ্গে নতুনভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পেশাদারি মানছেন না ফুটবলাররা!

পেশাদার ফুটবলে প্রধান শর্তই হচ্ছে, চুক্তি মোতাবেক খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক বা বেতন শোধ করতে হবে। না হলে খেলোয়াড়রা বাফুফে কিংবা ফিফার কাছে নালিশ করতে পারবেন। বাফুফে বিষয়টি কখনো ভালোভাবে গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু ফিফার কোনো ছাড় নেই। বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে তারা। প্রশ্ন হচ্ছে ফুটবলারদের পারিশ্রমিক মেটানোর জন্য কড়া আইন রয়েছে। কিন্তু যারা খেলছেন তারা কি পেশাদারি মানছেন?

দেড় যুগ ধরে পেশাদার লিগ চলার পরও ফুটবলাররা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। শুধু অপরিচিত নয়, জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড়রাও পেশাদারি তোয়াক্কা করছেন না। তাদের অর্থ দিতে ক্লাব বাধ্য থাকবে অথচ তারাই পেশাদারির নিয়ম মানবেন না তা কীভাবে হয়। পেশাদার লিগের জন্য যিনি যে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন শুধু সেই ক্লাবের হয়ে খেলবেন। ভাড়াটিয়া খেলোয়াড় হিসেবে অন্য কোনো ক্লাবে খেলাটা অপরাধ। এতে তার শাস্তি হওয়াটা বাধ্যতামূলক। সবকিছু জানার পরও তা কি মানা হচ্ছে? অপরিচিত হলে চলত। কিন্তু যখন জাতীয় দলের তারকা ফুটবলারদের বিভিন্ন জেলায় পাড়ার টুর্নামেন্টে খেপ খেলেন তা কি মানা যায়?

অহরহ চলছে এ ঘটনা। কিছু দিন আগেও জাতীয় দলের ক্যাম্পে থেকেও খেপ খেলার ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া আসরে এখন কোনো ব্যস্ততা নেই। তবে পেশাদার লিগের দলবদল চলছে। এ সুযোগে বিভিন্ন জায়গায় খেপ খেলে বেড়াচ্ছেন ফুটবলাররা। যেখানে তারকারাও বসে নেই। এর মধ্যে এমন একজন খেপ খেলেছেন যিনি নাকি ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসে এবার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে একটি দলের সঙ্গে নতুনভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে দেশের নামজাদা ফুটবলাররা সামান্য টাকার লোভে খেপ খেলেন তাহলে আর পেশাদারি থাকল কোথায়? পেশাদার মানে তো যা খুশি তা করা নয়। ক্লাবগুলোও বা কী করছে? তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তি নিতে পারবে কি? তা সম্ভব হচ্ছে না বলেই খেলোয়াড়রা আইন না মেনে খেপ খেলায় অংশ নিচ্ছেন। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ বলেন, ‘খেপ খেলাটা কখনো ঠেকানো যাবে না। কারণ এ নিয়ে ক্লাব তো বটেই জাতীয় দলেরও কোনো নিয়মনীতি নেই। অথচ পেশাদারির যুগে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ফিফার কাছে প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে বড় ধরনের শাস্তি বাধ্যতামূলক। ক্লাবের কী সেই দুঃসাহস আছে খেপ খেলা খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে? সম্ভব না বলেই খেপ খেলা নিয়ে বিতর্ক তোলার মানে নেই। চলছে চলুক, দেশের ফুটবল তো এভাবেই চলছে।’

জাতীয় দলের আরেক সাবেক ফুটবলার শেখ মো. আসলাম বলেন, ‘পেশাদার যুগে জাতীয় দলের ফুটবলাররা খেপ খেলবে তা আমি কোনোভাবেই মানতে পারছি না। যারা খেলছে ক্লাবের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’

সর্বশেষ খবর