মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বোলিংয়ে সফল ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বোলিংয়ে সফল ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ

সুপার এইটের শেষ ম্যাচের আগে অনুশীলনে সাকিবরা

১৭ বছর পর সুপার এইটে খেলেছে বাংলাদেশ। টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে জয় নেই একটিও। আজ সকালে আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে নাজমুলদের সুপার এইট মিশন। রশিদ খান, ফজলহক ফারুকীর আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলে সেমিফাইনালে খেলার সূক্ষ্ম একটি সম্ভাবনা থাকবে টাইগারদের। কিন্তু সেটাও ‘যদি’র ওপর। বাংলাদেশ সেমিফাইনালকে পরের ধাপের বিবেচনায় ভারত ম্যাচ পর্যন্ত পারফরম্যান্সের পর্যালোচনা করলে একটি বিষয় স্পষ্ট, টাইগার বোলাররা যতটা সফল, ব্যাটাররা ঠিক ততটাই ব্যর্থ। গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচ এবং সুপার এইটের দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সের বিচারে নাজমুল বাহিনীর সবচেয়ে আলোচিত পারফরমার ডান হাতি পেসার তানজিম সাকিব ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ব্যাটিংয়ে আরেক তরুণ ডান হাতি ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। তাওহিদ ৬ ম্যাচে ২৩.১৬ গড়ে ১৩৯ রান করেন। তার স্ট্রাইক ১২৬.৩৬ এবং ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা। জুনিয়র সাকিব ও রিশাদ ছয় ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১১টি।

বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপ খেলছে ২০০৭ সালের প্রথম আসর থেকে। সব মিলিয়ে ৯টি আসরে এবারই সর্বোচ্চ ৩টি জয় পেয়েছে টাইগাররা। শীর্ষ আটে জায়গা পাওয়ার পর নাজমুল বাহিনী স্বপ্ন দেখতে থাকে সেমিফাইনালের। দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার তাওহিদ বিশ্বাস করতেন, বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে। কিন্তু সুপার এইটে খেলতে নামার পর নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যরে প্রমাণ পেতে লাগল ম্যাচগুলোতে। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জিতলেও হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। সুপার এইটে হেরেছে অস্ট্র্রেলিয়া ও ভারতের কাছে। দুই দলের বিপক্ষে কোনোরকম লড়াই করতে পারেনি। পুরো আসরে ব্যর্থ টপ অর্ডার। ওপেনিং জুটিতে ভারতের বিপক্ষে শুধু ৩৫ রান করেছেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। বাকি ৫ ম্যাচের ওপেনিং জুটির স্কোর যথাক্রমে ১, ৯, ৩, ০ ও ০। গ্রুপ ৪ ম্যাচে ২৬ রান করা অধিনায়ক নাজমুল সুপার এইটে করেছেন যথাক্রমে ৪১ ও ৪০। সব মিলিয়ে ছয় ম্যাচে তার রান ১০৭। তাওহিদের রান ছয় ম্যাচে ১৩৯, সাকিবের রান ১১১। আসরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান সাকিব, অপরাজিত ৬৪। বর্ষীয়ান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৮৯ রান করেন। ওপেনার লিটন দাস ছয় ম্যাচে ৮৫, তানজিদ তামিম ছয় ম্যাচে ৭৬ রান করেন। বোলিংয়ে ১১টি করে উইকেট নিয়েছেন জুনিয়র সাকিব ও রিশাদ। জুনিয়র সাকিবের ওভারপ্রতি স্ট্রাইক রেট ৫.৩৫। রিশাদের ওভারপ্রতি স্ট্রাইক রেট ৮.০০। মুস্তাফিজুর রহমান ছয় ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ওভারপ্রতি ৫.৬৮ স্ট্রাইক রেটে ৭টি। সহঅধিনায়ক তাসকিন ভারত ম্যাচে খেলেননি। ওভারপ্রতি ৭.২১ স্ট্রাইক রেটে পাঁচ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৭টি। সাকিব ৩ উইকটে নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম ও শেষ বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট নেওয়ার বিরল কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সুপার এইট খেললেও সব মিলিয়ে বাংলাদেশের টি-২০ বিশ্বকাপটা ভারত ম্যাচ পর্যন্ত ভালো কাটেনি।

সর্বশেষ খবর