স্প্যানিশ কোচ দে লা ফুয়েন্তে ভীষণ চিন্তিত দলের সেরা তরুণ ফুটবলার লামিয়েল ইয়ামালকে নিয়ে। ১৬ বছর বয়সি ইয়ামাল তিনবারের ইউরো ও একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। তাকে কেন্দ্র করে কোচ লা ফুয়েন্তে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পরিকল্পনা সাজান। জার্মানির বিপক্ষে আজ ইয়ামালকে খেলানো নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন স্প্যানিশ কোচ। জার্মানির শ্রম আইনে ১৮ বছরের নিচে কাউকে কাজ করানোর অনুমতি নেই। অবশ্য ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের নীতিমালায় কিছু পরিশোধন করেছে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ১৮ বছরের নিচে যে-কাউকে রাত ১০টা পর্যন্ত খেলানোর অনুমতি দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে খেলানোর জন্য স্প্যানিশ কোচ স্টুটগার্ডে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিপক্ষে একাদশে রাখছেন ইয়ামালকে। স্পেন ও জার্মান কোয়ার্টারটি অলিখিত ফাইনাল। ফুটবলপ্রেমীরা স্পেনের টিকিটাকা ফুটবলের বিপক্ষে জার্মানির পাসিং ফুটবল উপভোগ করবেন।
নকআউট রাউন্ডে জর্জিয়ার ম্যাচে লামিয়েল ইয়ামালকে পুরো সময় না খেলিয়ে কোচ লা ফুয়েন্তে মাঠ থেকে তুলে নিয়েছিলেন। ইয়ামাল পুরো সময় না খেললেও এবারের ইউরোতে সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ফুটবল খেলছে ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন এবং ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। প্রতিপক্ষ জার্মানিও কিন্তু কম যাচ্ছে না। দলটি তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন। বরং জার্মানির ফুটবল ইতিহাস স্পেন থেকে আরও সমৃদ্ধ। দলটি ১৯৭২, ১৯৮০ ও ১৯৯৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন এবং ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। স্বাগতিক বলে নয়, দুরন্ত গতির ফুটবল খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা নিয়েছেন হারভার্টজরা। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১০টায় দুই চ্যাম্পিয়ন ফাইনালের আগে ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফ্ইানালে প্রথম জয়ী দল সেমিফাইনাল খেলবে। সেমিতে মুখোমুখি হবে রাত ১টায় দুই চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল-ফ্রান্স জয়ী দলের বিপক্ষে।
জার্মানি ও স্পেন এর আগে ২০০৮ সালে ইউরোর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার ফার্নান্দো টরেজের একমাত্র গোলে ইউরো শিরোপা জিতেছিল স্পেন। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দলের ওই ম্যাচটি ছিল সর্বশেষ মুখোমুখি। দুই বছর পর টিকিটাকা ফুটবল খেলে ডেলবক্সের কোচিংয়ে প্রথম ও শেষবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। একই ঘরানার ফুটবল খেলে ২০১২ সালেও ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়। জার্মানি ২০১৪ সালে সর্বশেষ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও সর্বশেষ ইউরো জিতেছিল ১৯৯৬ সালে। আজকের কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনকে এগিয়ে রেখেছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পরিসংখ্যান বলে, বিশ্ব ফুটবলের কোনো আসরের নকআউট পর্বে স্পেন স্বাগতিক দলকে হারাতে পারেনি। মুসিয়ালা, গুন্দোগান, হারভার্টজদের পরিসংখ্যানই ভরসা হতে পারে টিকিটাকা ফুটবলের ধারক স্পেনের বিপক্ষে। দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে ২৬ ম্যাচ। জার্মানির ৯ জয়ের বিপরীতে স্পেনের জয় ৮। বাকি ৯ ম্যাচে হারজিত নেই।