শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশ

এবারও কি সেই চেনা দৃশ্য

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবারও কি সেই চেনা দৃশ্য

এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে পদক জেতার রেকর্ড রয়েছে বক্সার মোশাররফ হোসেনের। ১৯৮৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত গেমসে তিনিই একমাত্র তামার পদক জেতেন। এরপর আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনো ক্রীড়াবিদই সাফল্য পাননি। ২০১০ সালে চীনের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ প্রথম সোনা জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায়। তবে তা এসেছিল দলীয় খেলা ক্রিকেটের মাধ্যমে। সেবার টি-২০ ইভেন্টে মো. আশরাফুলের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ সোনা জেতে। রুপা ও তামাও এসেছে ক্রিকেট থেকে। কমনওয়েলথ গেমসে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সোনা, রুপা ও তামা সব পদকই জেতা হয়েছে। ১৯৯০ সালে অকল্যান্ডে যৌথভাবে শুটিংয়ে প্রথম সোনা জেতেন আতিকুর ও নিনি। ১৯৯২ সালে ম্যানচেস্টার গেমসে সোনা জেতেন শুটার আসিফ। দুনিয়াসেরা অলিম্পিক গেমসেই বাংলাদেশ কখনো পদক জিততে পারেনি। ১৯৮৪ সাল থেকে যাওয়া-আসার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। চার বছর পরপর একটি গেমস শেষ হওয়ার পর থেকেই কর্মকর্তাদের মুখে একই সুর-পদক নয়, অভিজ্ঞতা অর্জন ছিল আমাদের লক্ষ্য। সেই ১৯৮৪ সালে শুরু হলেও এখনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। আরেকটি অলিম্পিক দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১১ জুলাই গেমসের পর্দা উঠবে; যা শেষ হবে ১১ আগস্ট। বাংলাদেশের পাঁচজন ক্রীড়াবিদ এ গেমসে অংশ নেবেন। আর্চারি থেকে সরাসরি অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন সাগর ইসলাম। সাঁতারে সামিউল ইসলাম রাফি, সোনিয়া আক্তার, শুটিংয়ে রবিউল ইসলাম ও অ্যাথলেটিকসে ইমরানুর রহমান ওয়াইল্ড কার্ড অর্থাৎ বিশেষ কোটায় গেমসে সুযোগ পেয়েছেন। এবারও বাংলাদেশ পদকশূন্য থাকবে তা নিশ্চিত। যদি কেউ তামাও জেতেন বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসে তা হবে বড় সাফল্য। যাক, পদক না এলেও পাঁচ ক্রীড়াবিদের প্যারিসে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। প্রশ্ন হচ্ছে, ক্রীড়াবিদের সংখ্যা মাত্র পাঁচ হলেও কর্মকর্তার সংখ্যা কত হবে? অলিম্পিক এলেই যেন কর্মকর্তারা আকাশে উড়তে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন। সরকারি খরচায় শুধু তারা নন, থাকেন স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরাও। আসার সময় লাগেজ ভরে মার্কেটিং করে আসেন। এ চেনা দৃশ্যের দেখা কি এবারও মিলবে? নাকি অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন অপচয় কমাতে প্রশংসিত উদ্যোগ নেবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর