শিরোনাম
সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডিসিপ্লিনারি কমিটির শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ডিসিপ্লিনারি কমিটির শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে উঠেও গত মৌসুমে শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নেয় নবাগত গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। ক্লাবটি কারণ দেখিয়েছিল অর্থসংকটের কারণে তাদের অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটি বাইলজ ভাঙার অপরাধে ক্লাবটিকে শাস্তি দিয়েছে। গত ৩ জুলাই কমিটির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গোপালগঞ্জকে প্রিমিয়ার লিগ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। রেলিগেটের সিদ্ধান্ত হলেও ক্লাবটি নতুন মৌসুমে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে কি না তা উল্লেখ করা হয়নি। ডিসিপ্লিনারি কমিটির এমন সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেননা ঘরোয়া ফুটবলের জনপ্রিয় এক ক্লাব এর আগে পেশাদার লিগ থেকে নেমে গেলেও পরবর্তী মৌসুমে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশগ্রহণ করেনি। তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটি কোনো শাস্তি দেয়নি। বরং এক মৌসুম বিরতি দিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলে পেশাদার লিগে উত্তীর্ণ হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিয় ভুলে যাওয়ার কথা নয় কমিটির। যাক, ৩ জুলাই সভায় অনূর্ধ্ব-১৮ লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের ম্যাচে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় শেখ রাসেলের ম্যানেজার ইফতেখার রহমান খান, হেড অব ডেলিগেশন হাবিবুর রহমান খানকে চার ম্যাচে মাঠে নামা নিষিদ্ধ ও সেই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ধার্য করা হয়। এ ছাড়া দলের খেলোয়াড় মিলন আকন্দ, সাইফুল ইসলাম ও মীর হোসেনকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলবয় মো. কামালকে ছয় মাস নিষিদ্ধ করেছে কমিটি। প্রশ্ন উঠেছে, প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও মাঠে শৃঙ্খলা ভাঙলে তাদের কেন শাস্তির আওতায় আনা হলো না? আবাহনী ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচে ব্রাদার্সের কোচ সাব্বির আহমেদ রেফারির সঙ্গে অশ্লীল আচরণে এক ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর