শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

চ্যাম্পিয়নদের বিদায়ঘণ্টার ম্যাচ

আসিফ ইকবাল

চ্যাম্পিয়নদের বিদায়ঘণ্টার ম্যাচ

বার্লিনের ফাইনাল থেকে মাত্র এক কদম দূরে স্পেন ও ফ্রান্স। দুই দলই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন। কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালে। ইউরো চ্যাম্পিয়ন ১৯৮৪ ও ২০০০ সালে। স্পেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ২০১০ সালে এবং ইউরো চ্যাম্পিয়ন ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালে। দুই দল এবারই প্রথম পরস্পরের বিপক্ষে ইউরো সেমিফাইনালে খেলছে। ১৯৮৪ সালে অবশ্য দুই দল ফাইনাল খেলেছিল। মিশেল প্লাতিনি ও বেলোনির জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। বাংলাদেশ সময় আজ দিবাগত রাত ১টায় দুই চ্যাম্পিয়নের ফাইনালে ওঠার লড়াই। হেরে বিদায় নেবে স্পেন, না ফ্রান্স?

পরিসংখ্যানে এগিয়ে তিন বারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। লা রোজাদের ১৬ জয়ের বিপক্ষে লা ব্লুজদের জয় ১৩। বাকি ৭ ম্যাচের ফল ড্র। দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে জিতেছে ফ্রান্স। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দল সর্বশেষ মুখোমুখি ২০১২ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন স্পেন ২-০ গোলে হারিয়েছিল ফ্রান্সকে। আজকের লড়াইয়ে ফেভারিট ধরা হচ্ছে লা ফুয়েন্তের স্পেনকে। লা রোজাদের সম্ভাব্য জয় দেখানো হয়েছে ৪৩.৪৪ শতাংশ। দিদিয়ের দেশমের ফরাসীদের সম্ভাব্যতা ৩০.৩২ শতাংশ। দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও ইউরো চ্যাম্পিয়নের হেভিওয়েট লড়াইটির সম্ভাব্য ফল, স্পেন ১-০। বড় ব্যবধান ২-১ এবং ফ্রান্সকে জয়ী দেখানো হয়েছে ১-০ গোলে। 

দুই চ্যাম্পিয়নদের লড়াইয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আলাদা নজর থাকবে লামিন ইয়ামাল ও কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে। এমবাপ্পেকে বলা হয় ‘গোল মেশিন’। দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। গোল করেছেন ১২টি। নাম লিখেছেন পেলের পাশে। দুবার ফাইনাল খেলে ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন ও ২০২২ সালে রানার্সআপ এমবাপ্পের ফ্রান্স। অবশ্য চলতি ইউরোতে নজর করতে পারছে না। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে পুরো সময় খেলেননি। গোল করেছেন সাকল্যে একটি। রদ্রি, রুইজ, লাপোতো, নাচো, মোরাতার মতো ফুটবলার থাকার পরও সব চোখ ইয়ামালের ওপর। বয়স মাত্র ১৬। অথচ ইউরোর সবচেয়ে বড় তারকায় পরিণত হয়েছেন। প্রতিটি ম্যাচ খেলছেন তিনি। গোলের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। ফাইনালের লড়াইয়ে উঠার আগে দুটি রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে ইয়ামাল। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে অভিষেকের পর ইউরোর ইতিহাসে ইয়ামালই সবচেয়ে কম বয়সি ফুটবলার। আগের রেকর্ড পোল্যান্ডের কজলভস্কির। তার অভিষেক হয়েছিল ১৭ বছর ২৪৬ দিন বয়সে। এক আসরে সবচেয়ে কম বয়সি ফুটবলার হিসেবে তিনটি অ্যাসিস্ট করে রেকর্ড গড়েছেন। আজ গোল করলেই ইয়ামাল হবেন ইউরোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। ২০০৪ সালে ১৮ বছর ১৪০ দিন বয়সে গোল করেছিলেন সুইজারল্যান্ডের ইয়োহান ভলনানথেন। যদি স্পেন ফাইনালে ওঠে, তাহলে ইয়ামাল হবেন ইউরোর ফাইনাল খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার।  

 

সর্বশেষ খবর