১৮৯৮ সালে স্থাপিত হয় ওয়ারী স্পোর্টিং ক্লাব। ১৯৪৮ সালে শুরুতে যে কয়টি ক্লাবকে নিয়ে ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের যাত্রা হয়েছিল সেখানে ওয়ারী ছিল অন্যতম ক্লাব। ব্রিটিশ আমল থেকে দেশের ধর্নাঢ্য ব্যক্তিরা এ ক্লাবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে ক্রীড়াঙ্গনে ওয়ারীর পরিচয় ছিল এলিট ক্লাব নামেই। প্রকৃত আভিজাত্য বলতে যা বোঝায় সেই পরিবেশ ছিল ক্লাবের ভিতরে। তবে সাফল্যের দিক দিয়ে ওয়ারী ছিল বরাবরই পিছিয়ে। কখনো চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হতে পারেনি। অথচ এই ক্লাব থেকে অসংখ্য প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের হয়েছেন। কাজী সালাউদ্দিন, মনোয়ার হোসেন নান্নু, শামসুল আলম মঞ্জু, বাটু, সোহরাব, লোভন, সাথী, সম্রাট হোসেন এমিলি, সুহাসসহ অনেক তারকার অভিষেক হয় ওয়ারি থেকে। ১৯৮৮ সালে ক্লাবটির বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে। রেলিগেটেড হয়ে প্রথম থেকে দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যায়।
ওয়ারিকে অপেক্ষা করতে হয়নি বেশি দিন। ১৯৮৯ সালেই দ্বিতীয় বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওয়ারী প্রথম বিভাগে ওঠে। পরবর্তীতে প্রথম বিভাগ বদলে ঢাকা ফুটবলে নামকরণ হয় প্রিমিয়ার লিগ। ২০০৭ সালে পেশাদার লিগে যাত্রা হলেও ওয়ারী ক্লাব পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় স্বেচ্ছায় চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলে। এখনো পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ খেলছে। তবে সাফল্য মিলছে না। এ ব্যাপারে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিদুর রহমান মিরাজ বলেন, ‘এখানে অর্থই বড় ফ্যাক্টর।’ যাক বড়দের না হলেও ৩৫ বছর পর ওয়ারি ছোটদের অনূর্ধ্ব-১৬ লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মিরাজ ওয়ারিতে খেলেই প্রতিষ্ঠিত ফুটবলার হয়েছেন। এখন সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বড় আসরে আমাদের সাফল্য নেই ঠিকই। তবে তৃণমূল পর্যায়ে ওয়ারী কাজ করে যাচ্ছে ভবিষ্যতে আসলাম, সাব্বির, মুন্না, কায়সারদের মতো তারকা তৈরি করতে। এ জন্য আমরা ছোটদের লিগে জোর দিয়েছি এবং সফলও হয়েছি। আমার বিশ্বাস অনূর্ধŸ-১৬ চ্যাম্পিয়ন থেকেই সামনে ভালো মানের ফুটবলার বের হয়ে আসবে। শিরোপাও যেমন আনন্দের খেলোয়াড় তৈরি করাটাও বড় স্বস্তির।’