বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

এক ফুটবল তারকার জন্ম

আসিফ ইকবাল

এক ফুটবল তারকার জন্ম

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে বাড়ি ফিরেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বসে পড়বেন লামিন ইয়ামাল। আগামী শনিবার বয়স ১৭ বছর পূর্ণ হবে। এখনো কৈশোরের গন্ধ লেগে আছে শরীরে। এর মধ্যেই শুধু স্পেন নয়, ইয়ামাল এখন ইউরোপিয়ান ফুটবলের নতুন এক তারকা।

অসাধারণ প্রতিভাবান ফুটবলার ইয়ামাল নতুন রেকর্ডের মালিক। পরশু রাতে মিউনিখে ২৫ মিটার দূর থেকে ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে চোখজুড়ানো গোল করে ভেঙেছেন পেলের রেকর্ড। গড়েছেন ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারের গোলের রেকর্ড। ইয়ামাল গোল করেন ১৬ বছর ৩৬২ দিনে। যা ইউরোর নতুন রেকর্ড। ২০০৪ ইউরোয় ১৮ বছর ১৪১ দিনে গোল করে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের জন ভনলাথেন। পেলে গোল করেছিলেন ১৯৫৮ সালে সুইডেন বিশ্বকাপে ওয়েলসের বিপক্ষে ১৭ বছর ২৩৯ দিনে। ইয়ামাল ৬৬ বছর পর পেলের সেই রেকর্ড ভেঙে দেন। রেকর্ড গড়া ইয়ামালের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত স্পেনের কোচ লুইস দে লো ফুয়েন্তে, ‘ইয়ামাল শুধু রেকর্ড ভাঙতে থাকে। প্রতিদিন বড় হচ্ছে, পরিপক্ব হয়ে উন্নতি করছে। সে একজন বিশ্বসেরা খেলোয়াড় হওয়ার পথে। সে এখনও কিশোর। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’

ডি বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে যে গোলটি করেন ইয়ামাল, মধ্য মাঠে দাঁড়িয়ে অবাক চোখে সেটা দেখেছেন বর্তমান সময়ের ‘ফুটবল বিস্ময়’ কিলিয়ান এমবাপ্পে। যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না ফ্রেঞ্চ গোলমেশিনের। ইউরো সেরার লড়াইয়ের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও ফ্রান্স। স্পেন তিনবারের চ্যাম্পিয়ন এবং ফ্রান্স দুবারের। দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ের আড়ালে লড়াই ছিল এমবাপ্পে ও ইয়ামালের। এমবাপ্পে একজন মহাতারকা। ইয়ামাল ভবিষ্যৎ তারকা। দুজনের লড়াইয়ে জিতেন ১৬ বছর বয়সি তরুণ। ফ্রান্সের বিপক্ষে স্পেনের ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচে গোল করেন ইয়ামাল। এমবাপ্পে গোল করেননি। গোল করিয়েছেন। সেমিফাইনালে পঞ্চমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে স্পেন। এর আগে ১৯৬৪, ১৯৮৪, ২০০৮, ২০১২ ও ২০২৪ সালে। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালে। রানার্সআপ হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। স্পেনের জয়ে ফুটবল বিশ্বে এক মহাতারকার জন্ম হয়েছে। অবিশ্বাস্য ও চোখধাঁধানো গোল করে ইউরোপিয়ান ফুটবলের রেকর্ডস বুকে নাম লিখেছেন লামিন ইয়ামাল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর