রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইংল্যান্ড আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে রাখব

এর আগে অনেক ইউরো বা কোপা আমেরিকা হয়েছে। কিন্তু লাগালাগি ফাইনাল আর কখনো হয়েছে কি না বলতে পারব না। অন্তত আমি তা দেখিনি। বিশ্বকাপ নয়, তার পরও দুই আসর ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ-উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। দুই আসরকে আপনি বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করতেই পারেন। বিশ্বকাপ জেতা প্রতিটি দেশ দুই আসরে খেলেছে। একে আমি ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্রেস রিহার্সেলই বলব। ভুল কি কিছু বললাম-পাঠক আপনারাই ভেবে দেখুন।

দুই ফাইনাল আর কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীর প্রশ্নও দুটি। ইউরো বা কোপা আমেরিকায় কোন দেশ চ্যাম্পিয়ন হবে? বলাটা খুবই কঠিন, দুই ফাইনালে চার দেশের সব বাঘা বাঘা খেলোয়াড়। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না এটাই স্বাভাবিক। তার পরও হারজিত হবেই। ইউরোর কথা বলতে গেলে স্পেনের প্রশংসা করতে হয়। তারা এবার শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছে। কোয়ার্টারে জার্মানি ও সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে যোগ্যতর দল হিসেবে জয় পেয়েছে। লামিন ইয়ামালকে আমি বাচ্চা ছেলেই বলব। ১৭ বছর বয়সে ও যে খেলাটা খেলছে তাকে জাদুকরের সঙ্গে তুলনা করা যায়। দলে উইলিয়াম রুদ্রি, আলমো ছাড়া আরও কজন মানসম্পন্ন খেলোয়াড় রয়েছেন; যারা ফাইনালে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখেন। অন্যদিকে ইংল্যান্ড অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে; যা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে স্লোভাকিয়ার সঙ্গে পিছিয়ে থেকে ২-১ গোলে জিতেছে, কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের কাছে প্রথম গোল খেয়েও টাইব্রেকারে জিতেছে। সেমিতেও নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়েছে একইভাবে।

প্রশ্ন হচ্ছে-আজ ফাইনালে দুরন্ত স্পেনের বিপক্ষে কী করবে? দেখেন, স্পেন দুর্দান্ত খেলছে, তার পরও আজকের ম্যাচে আমি ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রাখব। বলতে পারেন কোন দিক দিয়ে! ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর ফুটবলে আর কোনো বড় ট্রফি জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। গতবার ইউরোর ফাইনালে উঠেও পারেনি। স্পেন তিনবার ইউরো জিতেছে। ইংল্যান্ডের কাছে তা স্বপ্নই থেকে গেছে। আমার মনে হয় হ্যারি কেইন, বেলিংহাম, ফোডেন, সাকারা জানপ্রাণ দিয়ে লড়বেন শিরোপা জিততে। বারবার তো আর ফেরা যায় না। এবার মনে হয় ট্রফি নিয়েই ঘরে ফিরবে ইংরেজরা।

অন্যদিকে কোপায় আর্জেন্টিনাকেই এগিয়ে রাখব। ফাইনালে কলম্বিয়া অবশ্যই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তার পরও মেসিরা বিশ্বকাপ জিতে যে ফর্মে রয়েছেন তাদের হারানোটা মুশকিল। আর্জেন্টিনার বড় প্লাস পয়েন্ট গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেস। টাইব্রেকারেও তার ওপর আস্থা রাখা যায়। তার পরও ফাইনাল বলে যত কথা। মেসি থাকলেও কলম্বিয়ায় রুদ্রিগেজ আছেন। তিনি ভয়ের কারণ হতে পারেন।

 

সর্বশেষ খবর