রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইংল্যান্ডের প্রথম না স্পেনের চতুর্থ

আসিফ ইকবাল

ইংল্যান্ডের প্রথম না স্পেনের চতুর্থ

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সবচেয়ে আলোচিত শহর বার্লিন। ১৯৪৫ সালে বার্লিনের পতনে শেষ হয়েছিল বিশ্বযুদ্ধ। ঐতিহাসিক শহরটি ১৯৬১ সালে বিভক্ত হয় পূর্ব আর পশ্চিমে। ১৯৮৯ সালে দুই জার্মান এক হয় বার্লিন ওয়ালের ভাঙনে। বার্লিন শুধু জার্মানি নয়, বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শহর। চার মিলিয়ন নাগরিকের শহরটির দিকে এখন নজর ফুটবলপ্রেমীদের। বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় ইউরো সেরার লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে স্পেন ও ইংল্যান্ড। বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম বা অলিম্পিয়াস্ট্যাডিয়নে লা দে ফুয়েন্তের স্পেন খেলবে চতুর্থ শিরোপা জয়ের টার্গেটে। গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড অপেক্ষায় প্রথমবার শিরোপা উৎসবে মেতে উঠতে। ইউরো সেরা হবে স্পেন না ইংল্যান্ড?

১৯৬০ সালে শুরু ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৬৪ সালে দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ২০০৮ এবং ২০১২ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয় লা রোজারা। ১৯৮৪ সালে ফাইনাল খেলে হেরেছিল ফ্রান্সের কাছে। বিশ্বকাপ জিতে ২০১০ সালে। ইংল্যান্ড ১৯৬৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ২০২০ সালে ইউরোর ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছিল ইতালির কাছে। দুবারই ফাইনাল খেলেছিল পরিচিত ঘরের মাঠে। এই প্রথম ফাইনাল খেলছে দেশের বাইরে। সাউথগেট অপেক্ষায় ইতিহাস গড়ার। প্রতিপক্ষ দুরন্ত স্পেন। তারপরও ফিল ফোডেন, হ্যারি কেইন, জুড বেলিংহ্যাম, বুকায়ো সাকাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন ইংলিশ কোচ, ‘টুর্নামেন্টে স্পেন হয়তো ফেবারিট। তারা তিন কিংবা তারও বেশিবার (চারবার) ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু ট্যাকটিক্যালি আমরা সঠিক। আমরা জানি আমাদের সম্পর্কে। এখন সুযোগ এসেছে নতুন করে ইতিহাস লেখার। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সেটা পারব।’ স্পেনের বিপক্ষে পরিসংখ্যানেও এগিয়ে থ্রি লায়নরা। দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে ২৭ ম্যাচ। ইংল্যান্ডের ১৪ জয়ের বিপক্ষে স্পেনের জয় ১০। দুই দলের সর্বশেষ ম্যাচটি ইংল্যান্ড জিতেছে ইউয়েফা নেশন্স লিগে ৩-২ গোলে। ইউরোতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ফাইনালে এসেছে ইংল্যান্ড। স্পেন তার পুরোপুরি বিপরীত। গ্রুপ পর্বে দুই ড্র এক জয়ে নক আউটে উঠে ইংলিশরা। নক আউটে পিছিয়ে থেকেও হারায় স্লোভাকিয়াকে। কোয়ার্টারফাইনালে সুইজারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে এবং সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারায়। স্পেন টানা ৬ জয়ে পঞ্চমবার ফাইনাল খেলছে। গ্রুপ পর্বে ক্রোয়েশিয়া, ইতালি ও আলবেনিয়া, নক আউট পর্বে দুরন্ত জর্জিয়া, কোয়ার্টারফাইনালে স্বাগতিক জার্মানি এবং সেমিফাইনালে হারায় ফ্রান্সকে। কোচ দে লা ফুয়েন্তে স্বপ্ন দেখছেন লামিন ইয়ামাল, আলবার্তো মোরাতা, দানি অলমোদের নিয়ে। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড সত্ত্বেও শিরোপার স্বপ্ন দেখছেন স্পেনিশ কোচ, ‘স্পেন ও ইংল্যান্ড অসাধারণ একটি ফাইনাল উপহার দিবে। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত আমরা ভালো খেলেছি। অবশ্য এটা ফাইনালে কোনো প্রভাব রাখবে না। ইংল্যান্ডের অনেক ভালো মানের ফুটবলার রয়েছে। তারা যে কোনো মুহূর্তে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। আমরা সত্যিই এক শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে নামব।’

ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হলে ছাদ খোলা বাসে তাদের সংবর্ধনা দেবে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। স্পেনের শক্তি সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। ক্লাব কিংবা জাতীয় দল-যে কোনো আসরের গত ২২ বছরে ২৬টি ফাইনালে হারেনি স্পেন।

সর্বশেষ খবর