সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
কোপা আমেরিকার ফাইনাল আজ

লিওনেল মেসির সাত নম্বর ফাইনাল

রাশেদুর রহমান

লিওনেল মেসির সাত নম্বর ফাইনাল

এক দশক আগে ২০১৪ সালে রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। আর্জেন্টিনা-জার্মানির সেই ম্যাচের পর বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফির দিকে আড়চোখে মেসির তাকানোর দৃশ্যটা এখনো নিশ্চয়ই মনে আছে! সেই দৃশ্য কি ভোলার মতো! এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেও ট্রফির দিকে নিশ্চয়ই এমনই আড়চোখে তাকিয়ে ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। ২০০৭ সালেও কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেন মেসি। ব্যর্থতাই সঙ্গী ছিল। টানা চারটা ফাইনালে ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে পথ চলতে শুরু করেন তিনি। আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে যান সাফল্যের শীর্ষে। কোপা আমেরিকা আর বিশ্বকাপ ট্রফি উঠেছে মেসির হাতে। আরও একটা ফাইনালের সামনে মেসি। সপ্তম ফাইনালে মেসি কি তৃতীয় আন্তর্জাতিক ট্রফি হাতে তুলতে পারবেন!

কোপা আমেরিকার ২০০৭ সালের ফাইনাল। লিওনেল মেসি তখনো অত বড় তারকা হয়ে ওঠেননি। সম্ভাবনাময় এক তরুণ ফুটবলার। আর্জেন্টিনার ১৮ নম্বর জার্সি গায়ে খেলেন। ১০ নম্বরে তখন হুয়ান রোমান রিকুয়েলমে। সে সময়কার আর্জেন্টিনার সেরা তারকা। সেই দলটা কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়। ভেনেজুয়েলার হোসে পেচেনচো রোমেরো স্টেডিয়ামে রবিনহো, এলানো, দানি আলভেসরা মেসিদের হারিয়ে দেন ৩-০ গোলে। বাপ্তিস্তা ও আলভেসের দুই গোলের সঙ্গে আরও একটি যোগ করেছিলেন আর্জেন্টিনার রবার্তো আয়ালা। মেসি অবশ্য পরের বছর অলিম্পিকে সোনা জিতে আক্ষেপ কিছুটা ঘুছিয়েছিলেন।

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ২৪ বছর পর ২০১৪ সালে ফাইনালে তুলেছিলেন মেসি। ১৯৯০ সালের পর সেটাই ছিল আলবেসিলেস্তদের প্রথম ফাইনাল। আর্জেন্টিনা সেই ফাইনালে জার্মান তরুণদের কাছে হেরে যায় ১-০ গোলে। পরের বছর আরও একটি ফাইনাল খেলেন মেসিরা। সান্তিয়াগোর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চিলির মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা হেরে যায় ৪-১ গোলে। মেসি পেনাল্টিতে গোল করলেও ব্যর্থ হন হিগুয়েন ও বানেগা। ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার শতবর্ষ উদযাপন করে কম্বেল কর্তৃপক্ষ। সেই টুর্নামেন্টেও ফাইনাল খেলেন মেসিরা। আরও একবার মেসিদের কাঁদায় চিলি। এবারও গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে জিতে যায় চিলি। পেনাল্টি মিস করেন মেসি ও বিগলিয়া। এ ফাইনালের পর অভিমান ও দুঃখে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেন মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় যেন মাতম শুরু হয়। মেসিকে ফেরানের জন্য আর্জেন্টিনায় শুরু হয় সমর্থকদের জোর আন্দোলন। কয়েক সপ্তাহ পর সমর্থকদের অনুরোধ আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ট্রফির শূন্যতা কাটাতে ফিরে আসেন লিওনেল মেসি। আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেই মেসির শেষ দেখেছিলেন অনেকে। তবে মেসি ২০২২ সালে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরলেন। ফাইনাল খেললেন। দলকে উপহার দিলেন বিশ্বকাপ ট্রফি। এর এক বছর আগেই আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেন কোপা আমেরিকা। জয় করেন ফিনালিসিমা।

লিওনেল মেসির সামনে আরও একটা ফাইনাল। এ ফাইনাল থেকেও কি শিরোপা জিতবেন তিনি!

 

সর্বশেষ খবর