শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

চলে গেলেন কিংবদন্তি শুটার আতিকুর

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চলে গেলেন কিংবদন্তি শুটার আতিকুর

আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের কোনো খবরই নেই। সাফ গেমসে দু-তিনটি সোনা পেলেও সব আসরে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি। দলীয় বড় খেলা ফুটবলে সাফেই ফেল। ক্রিকেটে তখন বিশ্বকাপ খেলবে স্বপ্নেও ভাবা যেত না। আইসিসি ট্রফি ক্রিকেটে অচেনা দেশগুলোর কাছেই নাকানিচুবানি খেত। হকির কর্মকাণ্ড ছিল নিয়মমাফিক শুধু আসরে অংশ নেওয়া। এমন হতাশার মধ্যে আন্তর্জাতিক বড় কোনো আসরে বাংলাদেশ সাফল্য পাবে তা ছিল অবিশ্বাস্য। সেই খেলার সঙ্গে তখনো কেউ তেমন পরিচিত ছিলেন না। সেই শুটিংয়ের দুই শুটার অবিশ্বাসকে বিশ্বাসে পরিণত করলেন। ১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে শুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে আবদুস সাত্তার নিনির সঙ্গে জুটি বেঁধে যৌথভাবে সোনা জিতেছিলেন আতিকুর রহমান। একই গেমসে দুই শুটার অন্য আরেক ইভেন্টে জিতেছিলেন তামার পদক। ইতিহাস গড়া দুই শুটারের একজন কিংবদন্তি আতিকুর রহমান আর নেই। সবাইকে কাঁদিয়ে দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে বুধবার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। আতিকের মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। ১৯৯৩ সালে ঢাকা ও ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজে (চেন্নাই) সাফ গেমসে দেশের হয়ে সোনা জেতেন তিনি। শুধু শুটিং নয়, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশকে পরিচিত করার পেছনে আতিকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশের সাফল্যের আলোটা জ্বালিয়েছিলেন আতিক নিনিকে সঙ্গী করে। শুটার হিসেবে বিদায় নিলেও আতিক নিজেকে এ খেলার সঙ্গে জড়িয়ে রাখেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল অলিম্পিক গেমসেও একদিন বাংলাদেশের শুটাররা পদক জিতবেন। সেই স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে কি না জানি না। তবে এ কিংবদন্তির মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে বড় ক্ষতি হয়ে গেল। শুটাররা হারালেন একজন যোগ্য অভিভাবক।

সর্বশেষ খবর