রবিবার, ২১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

৪০ বছরেও অভিজ্ঞতা শেষ হয়নি বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

৪০ বছরেও অভিজ্ঞতা শেষ হয়নি বাংলাদেশের

অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু শেখা যায়। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা ৪০ বছরেও শেষ না হলে তাকে বৃথা ছাড়া আর কিছু কি বলা যাবে? আন্তর্জাতিক অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে ১৯৮৪ সালে লসঅ্যাঞ্জেলসে অলিম্পিক গেমস থেকে। ৪০ বছরে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা ১০ অলিম্পিক গেমসে খেলেছেন। সাফ, কমনওয়েলথ, এশিয়ান গেমস বা ইসলামী সলিডারিটি গেমসে দলীয় বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে শুধু রৌপ্য বা তামা নয়, বাংলাদেশ সোনাও জিতেছে। অলিম্পিক গেমসেই শুধু পদকশূন্য থেকে যাচ্ছে। ’৮৪ থেকেই কর্মকর্তারা বলছেন, পদক নয়, অলিম্পিকে অংশ নেওয়াটাই বড় কথা। এটাও বলছেন, দুনিয়ার সেরা গেমসে পদক জেতা এত সহজ নয়। খেলতে খেলতে খেলোয়াড়রা অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এর পর সাফল্য আসবেই।

৪০ বছর তো কম সময় নয়, এর পরও সবকিছু শূন্যই থেকে যাচ্ছে। পরিকল্পনা কিংবা দক্ষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাউকে কি সেভাবে তৈরি করতে পেরেছে? অর্থ তো কম খরচ হয় না, প্রশিক্ষকও আনা হচ্ছে উঁচুমানের। পদক তো দূরের কথা, লড়াইয়ের কাছেও কেউ ঘেষতে পারেনি। হিটেই আউট। কেউবা আবার তার আগেই শেষ। প্রশ্ন হচ্ছে- চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত গেমসে বাংলাদেশ কি শুধুই অংশ নেবে? চেনা চেহারা কি কখনো বদলানো সম্ভব নয়?

২৪ জুলাই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অলিম্পিক গেমসের পর্দা উঠবে। বাংলাদেশের পাঁচজন প্রতিযোগী স্বপ্নের এই গেমসে নামার সুযোগ পেয়েছেন। চারজন পুরুষ ও একজন নারী। সাঁতারে রাফি, সোনিয়া, শুটিংয়ে রবিউল, অ্যাথলেটিক্সসে ইমরানুর ও আর্চাররিতে সাগর ইসলাম। প্রশ্ন হচ্ছে- এই পাঁচজনের মধ্যে কেউ কি পদক জেতার সামর্থ্য রাখেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহেদ রেজা বলেছেন, পদক নয়, আমাদের টার্গেট যতটা ভালো করা। তবে অনেকের ধারণা, যতটুকু ভালোর আশা তা আর্চার সাগর ইসলামকে ঘিরে। যেহেতু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্চারিতে সাফল্য আছে, তাই সাগরকে ঘিরে আশা। ২৫ জুলাই সাগর রিকাভ ইভেন্টে অংশ নেবেন। 

 

সর্বশেষ খবর