সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
নতুন মৌসুমে নতুন বিদেশি

তারুণ্য অভিজ্ঞ মিলিয়ে শক্তিশালী শেখ রাসেল

শেখ রাসেল এবার বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিদেশিদের দলভুক্ত করবে। নতুন বিদেশিরাই এবার খেলবেন। ইতোমধ্যে নাইজেরিয়ার অনূর্ধŸ-১৯ দলে খেলা ঈসা ঈসাহকে পেয়েছি। আরও দুই নাইজেরিয়ান জন ফ্রাইডে ও লোকমানকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘানার রবার্ত ঘামরার সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তারুণ্য অভিজ্ঞ মিলিয়ে শক্তিশালী শেখ রাসেল

আগামী সেপ্টেম্বর থেকে নতুন মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলের পর্দা উঠার কথা। দল সাজাতে চলছে খেলোয়াড়দের ঘর বদলের পালা। বড় বড় ক্লাবগুলো পছন্দের দেশি ও বিদেশিদের নিশ্চিত করে প্রায় কাজ সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রও রয়েছে। এক সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে ক্লাবটি তেমনভাবে আলোড়ন তুলতে না পারলেও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর চেয়ারম্যান হওয়ার পরই শেখ রাসেলের চেহারা বদলে যায়। প্রতি মৌসুমেই বিগ বাজেটে শক্তিশালী দল গড়ছে। নতুন মৌসুমে সাফল্য পেতে আরও শক্তিশালী দল গড়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করেছে। ক্লাবের পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জানান, ‘ক্লাব চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর শত ব্যস্ততার মধ্যে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। উনার নির্দেশেই আমরা শক্তিশালী দল গড়ছি। ভালোমানের লোকাল ও বিদেশি ফুটবলার নিয়ে দল সাজানোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। আমরা সেইভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’ নতুন মৌসুমে শেখ রাসেল কেমন দল গড়তে যাচ্ছে? এ ব্যাপারে ফখরুদ্দিন বলেন, ‘শেখ রাসেলের লক্ষ্য সাফল্য। তাই শক্তিশালী দল গড়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। কাকে নিলে ভালো হয়, তা পর্যবেক্ষণ করে আমরা যেমন বেশ কজন পুরনো খেলোয়াড়দের দলে রেখেছি। নতুনদেরও আনা হয়েছে ও হচ্ছে। যারা যেতে চেয়েছে তাদের ছেড়ে দিয়েছি। কারও স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়নি।’ ফখরুদ্দিন জানান, ‘নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা দল ছাড়লেও সমস্যা নেই। তুষার, নাইম, ফাহিম ও রাব্বানি এই চার তরুণ গোলরক্ষক আমাদের রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তুষার তো দর্শকদের নজর কেড়েছেন। মুনীর, চন্দন, ইমন ও সাগর গেল মৌসুমে ভালো পারফরম্যান্স করায় তাদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করা হয়েছে। বাফুফের এলিট ক্লাবের মিরাজুল ও ইমরানকে নিশ্চিত করেছি। আশা করি বয়সভিত্তিক দলের খেলোয়াড় হলেও এরা আস্থা অর্জন করতে পারবে।’

তরুণদের পাশাপাশি শেখ রাসেলে এবার মাঠ কাঁপানো বেশ কজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের দেখা মিলবে। যারা জাতীয় দলেও নজর কেড়েছেন। এরা কারা? এ ব্যাপারে ফখরুদ্দিন বলেন, ‘রহমত মিয়া, আলমগীর মোল্লা, রয়েল, রাফি, রহিম ও সুফিলের মতো পরিচিত মুখদের পেয়েছি। তারুণ্য ও অভিজ্ঞ মিলিয়ে ব্যালান্সড শক্তিশালী দল গড়া হচ্ছে। তবে এ কথা অস্বীকার করা যাবে না সাফল্য পেতে শুধু লোকালদের ওপর নির্ভর করা যায় না। যদিও এবার আস্থা রাখা যায় সেই মানের লোকালের সংখ্যা কম নেই। তার পরও মানসম্পন্ন বিদেশি ফুটবলারের প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে শুধু শেখ রাসেল নয়, অন্য শীর্ষ ক্লাবদের মূল ভরসা বিদেশিরাই। সোজা কথা চ্যাম্পিয়ন হতে ভালো মানের বিদেশি ফুটবলারের দরকার পড়বে।’

ফখরুদ্দিন প্রসঙ্গটি টেনে বলেন, ‘শেখ রাসেল এবার বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিদেশিদের দলভুক্ত করবে। নতুন বিদেশিরাই এবার খেলবেন। ইতোমধ্যে নাইজেরিয়ার অনূর্ধŸ-১৯ দলে খেলা ঈসা ঈসাহকে পেয়েছি। আরও দুই নাইজেরিয়ান জন ফ্রাইডে ও লোকমানকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘানার রবার্ত ঘামরার সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত। আরেক বিদেশির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। সবার প্রোফাইল দেখেই দলভুক্ত করা হয়েছে। তারপরও অনুশীলন দেখেই তাদের নাম রেজিস্ট্রেশন করা হবে। বিদেশিরা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন আশা রাখি। এরপর কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু ক্যাম্প ডেকে সবার ফিটনেস দেখবেন।’

 

 

 

সর্বশেষ খবর