বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

জিমন্যাস্টিকসে ফিরে আসার গল্প

ক্রীড়া ডেস্ক

জিমন্যাস্টিকসে ফিরে আসার গল্প

ইতিহাসের অন্যতম সেরা জিমন্যাস্ট হিসেবে ধরা হয় যুক্তরাষ্ট্রের সিমোনে বিলেসকে। ২০১৬ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ব্রাজিলের রিও নগরীতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসে চারটি সোনার পদক জয় করেন তিনি। অলরাউন্ড, ভল্ট, ফ্লোর এক্সারসাইজ এবং দলগত ইভেন্টে সোনা জিতে চমকে দিয়েছিলেন এ তরুণী। সবাই ভেবেছিল, এ তরুণীকে পরের অলিম্পিকেও ঠেকানো যাবে না। একের পর এক সোনার পদক জয় করেই চলবেন তিনি। কিন্তু বিপরীত দৃশ্য দেখা যায় ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকে। সেখানে বেশিরভাগ ইভেন্ট থেকেই নাম প্রত্যাহার করেন সিমোনে। সবাই অবাক হয়ে যায়। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ জিমন্যাস্টের হলোটা কী!

টোকিও অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একের পর এক ক্রীড়া ইভেন্ট স্থগিত হয়। কোনোটা একেবারেই বাতিল হয়ে যায়। অলিম্পিক গেমস পিছিয়ে যায় এক বছর। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত এ আসরে ক্রীড়াবিদদের অনেকেই ছিলেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। করোনার ধাক্কাটা তখনো সামলে উঠতে পারেননি অনেকে। সিমোনে বিলেসের করোনা ছাড়াও ছিল ধর্মীয় চিন্তার ক্ষেত্রে পরিবর্তন। ডাক্তারের সঙ্গে প্রতি সপ্তাহেই সেশনে বসতে হতো তাকে। জিমন্যাস্টিকসের ভাষায় ‘মেন্টাল ব্লক বা টুইস্টিসের’ শিকার ছিলেন তিনি। দুরন্ত সাহসিনী সেই মেয়েটা কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। তবে দুই বছর পর ২০২৩ সালে স্বরূপে ফেরেন এ মার্কিন জিমন্যাস্ট। আগের চেয়েও ভয়ংকর রূপ দেখা যায় তার। একের পর এক পদক জয় করতেই থাকেন। গত বছর তিনি পদকের তালিকাটা নিয়ে যান ৩৭-এ। ২০১৩ সালে জিমন্যাস্টিকসে মাত্র ১৬ বছর বয়সে যাত্রা করেন সিমোনে। মাত্র দশ বছরে নিজেকে কিংবদন্তির সারিতে নিয়ে যান। প্যারিস অলিম্পিকেও তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন দর্শকরা। এবারের অলিম্পিকে আরও চারটি সোনার পদক জয়ের জন্যই খেলবেন তিনি।

আরও এক মার্কিন জিমন্যাস্ট সুনিসা লি। গতবার টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয় করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে তার কিডনিতে সমস্যা দেখা দিল। ডাক্তার বললেন, আর জীবনেও বার, বিম কিংবা ভল্টে লড়াই করতে পারবেন না তিনি। সেই সুনিসা কিছুদিন আগে মিনেপোলিসে যুক্তরাষ্ট্র দলের ট্রায়ালে ১১১.৬৭৫ স্কোর করে সেরাদের একজন হয়েছেন। দলে ঠাঁই পেয়েছেন। প্যারিস অলিম্পিকেও সোনা জয়ীদের সারিতেই থাকতে পারেন সুনিসা।

জিমন্যাস্টিকসে মেন্টাল ব্লক কিংবা শারীরিক অদক্ষতা কাটিয়ে ফিরে আসার গল্প খুব কমই আছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ দুই মেয়ে বিরল দৃষ্টান্তই স্থাপন করতে চলেছেন প্যারিস অলিম্পিকে।

সর্বশেষ খবর