শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

সালাউদ্দিন পাপন এখন কোথায়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সরকারের পরিবর্তনের পর বিসিবিতে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন পরিচালকরা। তারা অপেক্ষা করছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য। বিসিবিতে চাকরি করছেন এমন অনেক কর্মচারী মিছিল করেছেন সংস্কারের দাবিতে। বাফুফে কিংবা হকি ফেডারেশনে যদিও কোনো মিছিলের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে। মন্ত্রণালয় বণ্টন হয়েছে গতকাল দুপুরে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এর ফলে বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এখন দায়িত্বহীন। তবে বিসিবি ও বাফুফে অভিনন্দন জানিয়েছে নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টাকে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ক্রীড়াঙ্গনে আমূল সংস্কারের প্রত্যাশা করছেন ক্রীড়া সংগঠকরা। নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা দায়িত্ব পাওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিসিবি ও বাফুফে। দেশের দুটি বৃহত্তম ক্রীড়া ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির কার্যক্রম কি পরিচালিত হবে? না ভেঙে দেওয়া হবে? সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন? গত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট পাপন ও সালাউদ্দিন এখন কোথায়? ক্রীড়াঙ্গনে গুঞ্জন পাপন দেশে নেই। আবার অনেকে বলছেন, নিরাপদে দেশে আছেন বিসিবি সভাপতি। বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনও দেশে আছে নিরাপদে। অবশ্য বাফুফে সিনিয়র সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী পদত্যাগ করেছেন। অথচ গত সরকারের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন সালাম মুর্শেদী। ছিলেন সংসদ সদস্যও। দেশের আরেক বড় ফেডারেশন হকি। ফেডারেশনটির সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাইদেরও কোনো খোঁজ নেই। সালাউদ্দিন ছাড়া পাপন ও সাইদ দুজনে সরাসরি আওয়ামী লিগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। পাপন মন্ত্রী ছিলেন। সাইদ যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

সরকারের পরিবর্তনের পর বিসিবিতে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন পরিচালকরা। তারা অপেক্ষা করছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য। বিসিবিতে চাকরি করছেন এমন অনেক কর্মচারী মিছিল করেছেন সংস্কারের দাবিতে। বাফুফে কিংবা হকি ফেডারেশনে যদিও কোনো মিছিলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী সরকারের সময় প্রতিটি ফেডারেশনেই তৎকালীন সরকারের সমর্থকরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। বিসিবির পরিচালকদের মধ্যে শফিউল ইসলাম নাদেল ছিলেন সংসদ সদস্য। বিসিবি পরিচালক আ জ ম নাছির ছিলেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় সাবেক সংসদ সদস্য। বাফুফের সিনিয়র সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করা সালাম মুর্শেদীও ছিলেন সংসদ সদস্য। সালাউদ্দিন আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। কিন্তু ছিলেন আশীর্বাদপুষ্ট। ২০০৮ সাল থেকে বাফুফের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। পাপনও বিসিবির সভাপতি তিন টার্ম ধরে। বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ছিলেন সংসদ সদস্য। আরেক সহসভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহী সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সালাম মুর্শেদী পট পরিবর্তনের সঙ্গে তার দুটি হোয়াটসঅ্যাপের ছবিও পরিবর্তন করে ফেলেছেন। এখন কথা হচ্ছে, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কতটা পরিবর্তন আসবে?

সর্বশেষ খবর