শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মাশরাফি

যেভাবে ছাত্ররা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন, অনেকে ভেবেছিলেন সরকারি দলের হলেও মাশরাফি প্রতিবাদ জানাবেন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মাশরাফি

বাংলাদেশ জাতীয় দলকে অনেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মর্তুজার যে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা আর অন্য কারোর ছিল না। ভবিষ্যতেও হবে কি না এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। জাতীয় দল থেকে স্বেচ্ছায় সরে গেলেও বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে খেলছেন। ক্রিকেটার থাকা অবস্থায় তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন লড়াইল-২ আসন থেকে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দুবারই বিপুল ভোটে জয়ী হন। সংসদ ভেঙে দেওয়ায় তিনি এখন সংসদ সদস্য নন। তবে আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদকের পদটি বহাল রয়েছে। বাংলাদেশে রাজনীতিতে জড়ালে সর্বত্র তার জনপ্রিয়তা থাকে না। কিন্তু মাশরাফি ছিলেন ব্যতিক্রম। সবাই তাকে পছন্দ করতেন। কিন্তু দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী বা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন নীরব। যেভাবে ছাত্ররা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন, অনেকে ভেবেছিলেন সরকারি দলের হলেও মাশরাফি প্রতিবাদ জানাবেন। তা করেননি। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিনই নড়াইলে মাশরাফির বাসভবনে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়। এরপরও নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এ পেসার কারও বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি মুখ খুলেছেন। বুধবার একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, ‘অবশ্যই আমার ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে পেরে ওঠেনি। যা বললাম তা হয়তো অনেকে বিশ্বাস নাও করতে পারেন। যা সত্য তাই বললাম। কেঁদেছি কিন্তু যেতে পারেনি।’ তার বাসায় অগ্নিসংযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বাসাটি তৈরি করেছিলাম বাবা-মায়ের জন্য। কিছু এতিম ছেলেও এ বাসায় থাকত। হয়তো কেউ ক্ষোভের জন্য কাজটি করেছে। তবে আমি ভাগ্যবান যে, আমার বাবা-মা ও এতিমরা জানে বেঁচে গেছে। কারও বিরুদ্ধে মামলা করার প্রশ্ন ওঠে না। সবাই তো নড়াইলের লোকজন। যে জেলার উন্নয়নে আমি পরিশ্রম করে যাচ্ছিলাম। সেই জেলার কেউ বিপদে পড়ুক তা আমি চাই না।’

সর্বশেষ খবর