ক্রীড়াঙ্গনে কি দাপটটা না ছিল বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংগঠনের (ফোরাম)। সদস্য সংখ্যা বেশি ছিল বলে যে কোনো ফেডারেশনের নির্বাচনে তাদের গুরুত্ব দেওয়া হতো অন্যভাবে। মূলত তাদেরই ভোটের ওপর নির্ভর করত প্রার্থীদের জয়-পরাজয়। প্রভাব থাকার কারণে ফোরাম কতই না অনিয়ম করেছে। তারা ছাড়া ক্রীড়াঙ্গন যেন ছিল অচল। অনেকে বলেন, খেলাধুলায় যে অরাজকতা তার আগমন ঘটে ফোরামের মাধ্যমেই। যোগ্য সংগঠকরা নিজেদের সরিয়ে নেন ফোরামের দাপটে অসহায় হয়ে।
আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি। যখন যে দল ক্ষমতায় ছিল রূপ বদল করে ফোরামের সংগঠকরা দাপট ধরে রেখেছিলেন। সচেতন ক্রীড়ামোদিদের দীর্ঘদিনের দাবি ক্রীড়াঙ্গনের বৃহত্তর স্বার্থে এ ফোরাম বিলুপ্ত করা হোক। দেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ এতটাই বিভক্ত ছিলেন যে, ফোরামকে খেলাধুলার বিষফোঁড়া বলতে ছাড়েননি।
যাক স্বস্তির খবর হচ্ছে ফোরাম দাপটের অবশেষে অবসান ঘটেছে। গতকাল দেশের সব ক্রীড়া সংস্থা ভেঙে দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, সব জেলা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, সব বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটির বিলুপ্তি ঘটেছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এস এম হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে। অচিরেই যোগ্য সংগঠকদের মাধ্যমে সংস্থাগুলোর অ্যাডহক কমিটি গঠন হবে। এরপর কি আর ফোরামের অস্তিত্ব থাকে?জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মো. আসলাম বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল তার জন্য আমি ফোরামকে দায়ী করব। তারা যা খুশি তাই করেছেন। অযোগ্যদের চেয়ারে বসিয়ে খেলাধুলার ১২টা বাজিয়েছেন। বর্তমান সরকারের উচিত যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া। ওরা যেন আর কখনো ক্রীড়াঙ্গনে না ফিরতে পারে।’