জাতীয় দল। অর্থাৎ সিনিয়র ফুটবলারদের শিরোপা জেতাটা স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জেতার পর ২০১০ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল। বড়রা ব্যর্থ হলেও সাফে বয়সভিত্তিক আসরে ছোটরা ঠিকই দুরন্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছিল। তবে ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ছোটরাও ছিল শিরোপাবঞ্চিত। অবশেষে বন্ধ দুয়ার খুলল। গতকাল সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০ বছরের সীমাবদ্ধ আসরে এটিই ছিল প্রথম শিরোপা।
নেপালের মাটিতে পুরুষ ফুটবলে এমনিতেই জেতা কঠিন। এবার গ্রুপ পর্বের লড়াইয়েও বাংলাদেশ তাদের কাছে ১-২ গোলে হেরে যায়। সেই নেপাল ফাইনালে ৪-১ গোলে হারবে তা কি কেউ ভেবেছিলেন? পুরুষ ফুটবলে অনেক দিন পর নেপালের বিপক্ষে এত বড় ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। দেশের ক্রান্তিকালে এ শিরোপা ক্রীড়ামোদীদের উজ্জীবিত করবে নিঃসন্দেহে। অসাধারণ ফুটল খেলেছে যুবারা; যা দেখে সাবেক সিনিয়র ফুটবলারা অবাক। ছোটদের প্রশংসায় ভাসালেন বড়রা। জাতীয় দলের সাবেক নন্দিত ফুটবলার শেখ মো. আসলাম বলেন, ‘সত্যিই বাংলাদেশ ভলো খেলেছে। নেপালকে এভাবে উড়িয়ে দেবে ভাবতেই পারিনি। প্রতিটি পজিশনে আস্থার পরিচয় দিয়েছে। শুধু প্রশংসাই করব না। এই ছেলেদের মাধ্যমে দেশের ফুটবলে হারানো গৌরব উদ্ধার হবে আশা করি।’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ বলেন, ‘অনেক দিন পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। ছেলেরা বড্ড ভালো খেলেছে। ওরাই দেশের ফুটবল জাগিয়ে তুলবে।’ জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, ‘অসংখ্য ধন্যবাদ ছেলেদের। ব্যর্থতায় দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। অনেক দন পর শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। নতুন বাংলাদেশের নতুন শিরোপা। আশা রাখি সামনে আরও সাফল্য আসবে।’