বয়সভিত্তিক তিন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৭০ জনকে নিয়ে বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমির পেশাদার ফুটবল পাঠের প্রাথমিক যাত্রাটা শুরু হয়ে গেল। শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে সব রকম আধুনিকতা ও সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করা ক্লাবটি এই একাডেমির মধ্য দিয়ে এবার আরেকটি স্বপ্নপূরণের পথে পা বাড়াল। অভিভূত কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘আজকে (গতকাল) আমাদের একাডেমির যাত্রা শুরু হলো। এই একাডেমি চালু করা আমাদের স্বপ্ন বলতে পারেন। যদিও এখনই পূর্ণাঙ্গ একাডেমি বলা যাবে না। তার পরও যাত্রা শুরু হলো। আমরা আশাবাদী, এখানে যারা অনুশীলন করবে তারা একসময় বসুন্ধরা কিংসের মূল দলেও সুযোগ পাবে।’ শুরুতে অনাবাসিক হলেও ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে আবাসিক প্রশিক্ষণ শুরু হবে বলে জানালেন তিনি।
বয়সভিত্তিক তিনটি গ্রুপ ৬-১১, ১১-১৫ ও ১৫-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হয়েছে এই একাডেমির যাত্রা। সপ্তাহে তিন দিন দেওয়া হবে ফুটবল প্রশিক্ষণ। শুরুতে ভর্তি হতে একজনের জন্য খরচ করতে হচ্ছে ১০ হাজার টাকা, মাসিক বেতন ৬ হাজার করে। তবে যারা প্রতিভাবান কিন্তু দরিদ্র পরিবারের তাদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়া হবে। সেটা অবশ্য আবাসিক চালু হওয়ার পরেই। সারা দেশের বিভাগীয় আট শহরে ট্যালেন্ট হান্ট করে প্রতিভাবান খুদে ও কিশোর ফুটবলার খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন ইমরুল। তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা না, আটটি বিভাগীয় শহরে ট্যালেন্ট হান্ট করব। সেখানে যদি প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাই তাহলে তাদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে আমাদের একাডেমিতে সুযোগ করে দেব।’