রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

অনিয়মে ক্রিকেট ছাড়ছে তরুণরা

দীর্ঘদিন ধরে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় একক আধিপত্য বিস্তার করেছে একটি চক্র। ওই চক্রে কোচ থেকে শুরু করে জড়িত সংগঠকরাও। তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে না পারলে খেলার সুযোগ কারও মেলে না। দীর্ঘদিন তাদের প্রভাবের কাছে সম্ভাবনাময় অনেক তরুণ ক্রিকেট থেকে হারিয়ে গেলেও এবার মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগীরা।

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কোচদের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ক্রিকেট ছাড়ছে সম্ভাবনাময় তরুণরা। অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কোচ ও চট্টগ্রাম জেলা কোচ এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় খেলোয়াড়। কোচের চাহিদা মাফিক সুবিধা দিতে ব্যর্থ হলেই মেলে না খেলার সুযোগ। যার কারণে খেলতে না পারার আক্ষেপ আর হতাশায় ক্রিকেট ছাড়ছেন সম্ভাবনাময় তরুণ ক্রিকেটাররা। এ ছাড়াও কোচদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, কোচেস সমিতিকে ব্যবহার করে ফায়দা হাসিলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। চলমান সংস্কার কার্যক্রমে চট্টগ্রাম থেকে বিসিবি ও জেলার ক্রিকেট কোচ ও সিজেকেএস দুর্নীতিবাজ, স্বজনপ্রীতি আর স্বেচ্ছাচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বিসিবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কোচ মোমিনুল হক বলেন, আমাদের বিভাগীয় টিমে ৫০ জন খেলোয়াড় নেওয়া হয়। এর মধ্যে একাডেমি আছে প্রায় ৪০টার ওপরে। এখানে যে সব খেলোয়াড় আছে, মেধাবী ও ভালো খেলে তাদের আমরা টিমে নিয়ে থাকি। কিন্তু দেখা যায় যে, কিছু একাডেমি বেশ ভালো খেলে খেলোয়াড় বেশি থাকে তারা দলে জায়গা করে নেয়। আবার অনেক একাডেমি আছে যাদের খেলোয়াড়রা ভালো খেলতে পারে না, যার কারণে তারা বাদ পড়ে। এতে করে যারা বাদ পড়ে তারা মনে করে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। এখন বলেন, ভালো ক্রিকেটার না নিয়ে কি আমি টিম করব, না খারাপ খেলে তাদের নিয়ে করব। প্রতি বছর আমরা টিম করি, প্রতি বছর এমন অভিযোগ থাকে। তবে এ বছর পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে একটু বেশি অভিযোগটা করা হচ্ছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় একক আধিপত্য বিস্তার করেছে একটি চক্র। ওই চক্রে কোচ থেকে শুরু করে জড়িত সংগঠকরাও। তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে না পারলে খেলার সুযোগ কারও মেলে না। দীর্ঘদিন তাদের প্রভাবের কাছে সম্ভাবনাময় অনেক তরুণ ক্রিকেট থেকে হারিয়ে গেলেও এবার মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগীরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বিসিবির চট্টগ্রামের কোচ মোমিনুল হকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে। মোমিনুল হকের নিজের একটি একাডেমি ও কিছু পছন্দের একাডেমি রয়েছে। এসব একাডেমির বাইরে অন্য কোনো একাডেমিতে সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী ক্রিকেটার থাকলেও তাদের সুযোগ দেওয়া হয় না। মোমিনুল হক এবং জেলার কোচ যোগসাজশে খেলোয়াড় সিলেক্ট করে পছন্দমতো। যার কারণে পছন্দ না হলে বাদ দেয় তরুণ ক্রিকেটারদের।

 

সর্বশেষ খবর