লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টসে জিতে প্রথমে বিরাট কোহলিদের ব্যাটিং করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। ভারতের প্রথম ইনিংস থামে ৩৬৪ রানে। অন্যদিকে ৩৯১ রানে থামল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। তৃতীয় দিনের শেষে ২৭ রানে এগিয়ে ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। তার ইনিংস সাজানো ছিল ১৮টি চারে। ৫৭ রান এসেছে জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে। ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন ররি বার্নস।
ভারতের হয়ে ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন মোহম্মদ সিরাজ। ৩টি উইকেট পেয়েছেন ইশান্ত শর্মা। ২টি উইকেট পেয়েছেন মোহম্মদ শামি।
ভারতের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেন রুট। এর আগে, সিরিজের প্রথম টেস্টে ট্রেন্ট ব্রিজে করেছিলেন সেঞ্চুরি। এর ফলে, চলতি বছর ১০ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি করে ফেললেন রুট। আর কোনো ইংলিশ অধিনায়ক এক বছরে এতগুলো টেস্ট সেঞ্চুরি করতে পারেননি।
৪ সেঞ্চুরিতে রেকর্ডটি এতদিন রুটসহ যৌথভাবে ছিল গ্রাহাম গুচ (১৯৯০), মাইক আথারটন (১৯৯৪) ও অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের (২০০৯)। এদিন, তাদেরকে ছাড়িয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে এক বছরে সেঞ্চুরি করার দিক দিয়ে সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন রুট। ইংল্যান্ডের নেতৃত্বে এখন ১১টি টেস্ট সেঞ্চুরি রুটের। আর কেবল একটি সেঞ্চুরি করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন কুকের আরেকটি রেকর্ড।
অধিনায়ক হিসেবে এক বছরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড রিকি পন্টিংয়ের। তিনি ২০০৬ সালে ৭টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে এই সিরিজে আরও তিনটিসহ এই বছর সামনে আরও টেস্ট আছে ইংল্যান্ডের। রুটের সুযোগ আছে দেশের রেকর্ড নতুন উচ্চতায় নেওয়ার এবং একই সঙ্গে বিশ্বরেকর্ড গড়ার।
সেঞ্চুরির পর আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেন রুট। ১১৩ রান করে পা রাখেন ৯ হাজার টেস্ট রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে আগে কেবল একজনই পেয়েছেন এই অর্জনের দেখা। তিনি হলেন অ্যালেস্টার কুক। ২০৬ ইনিংস খেলে ৯ হাজার হয়েছিল কুকের। রুটের লাগল ১৯৬ ইনিংস। সময়ের হিসেবে অবশ্য কুককে ছাড়িয়ে বিশ্বরেকর্ডই গড়ে ফেলেছেন রুট। অভিষেক থেকে মাত্র ৮ বছর ২৪২ দিনেই হয়ে গেল তার ৯ হাজার। কুকের লেগেছিল ৯ বছর ৮৯ দিন। ক্যারিয়ারের ১০ বছরের কম সময়ে ৯ হাজার রান করতে পেরেছেন কেবল এই দুজনই।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত