আবারও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে হারল দিল্লি ক্যাপিটালস। লক্ষ্ণৌর করা ১৯৫ রান তাড়া করতে পারল না মুস্তাফিজের দিল্লি। ৬ রানে জিতে লিগ তালিকায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল লক্ষ্ণৌ। এতে প্লে-অফের আরও কাছে পৌঁছে গেলেন রাহুলরা।

রবিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন লক্ষ্ণৌর দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও লোকেশ রাহুল। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল ডি কককে। কিন্তু ২৩ রানের মাথায় তাকে আউট করে লক্ষ্ণৌকে প্রথম ধাক্কা দেন শার্দুল ঠাকুর। প্রথম উইকেট পড়ার পরে রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন দীপক হুডা। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন হুডা। তিনি থাকায় সুবিধা হচ্ছিল রাহুলের। প্রথমে সেট হয়ে তার পর হাত খুলে খেলা শুরু করেন তিনি।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি দিল্লির। মাত্র ১৩ রানের মধ্যে আউট হন দলের দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রান তোলার দায়িত্ব ছিল দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থের ওপর। প্রথম বল থেকেই দেখা গেল মারমুখী মেজাজে রয়েছেন পন্থ। একের পর এক বড় শট খেলতে শুরু করেন তিনি। তাকে দেখে রানের গতি বাড়ান মিচেল মার্শও। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

তবে ৩৭ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মার্শ। যদিও পরে রিপ্লে-তে দেখা যায় আউট হননি তিনি। রান পাননি ললিত যাদব। তার পরে পন্থের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন রভম্যান পাওয়েল। তিনিও শুরু থেকে বড় শট খেলা শুরু করেন। ফলে উইকেট পড়লেও রানের গতি কমেনি। ৪৪ রানের মাথায় পন্থকে বোল্ড করে দিল্লিকে বড় ধাক্কা দেন মহসিন খান। পাওয়েলকেও আউট করেন তিনি। দিল্লির শেষ আশা শার্দুলকেও সাজঘরে ফেরান এই বাঁহাতি বোলার। শেষ দিকে অনেক চেষ্টা করেন অক্ষর ও কুলদীপ। কিন্তু তার পরেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি দিল্লি। ৬ রানে হারে তারা।

দিল্লির হয়ে একাই তিন উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। এদিন মুস্তাফিজ চার ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি। অপরদিকে লক্ষ্ণৌর হয়ে ১৬ রানে চার উইকেট নেন মহসিন খান।

এর আগে, আরও একবার লক্ষ্ণৌর মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি। প্রথম দেখায় লক্ষ্ণৌর সামনে পাত্তাই পায়নি তারা। ৬ উইকেটে হেরেছিল মুস্তাফিজরা। সেবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৪৯ রানে থেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। পাল্টা জবাব দিতে নেমে কুইন্টন ডি ককের ৮০ রানে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লক্ষ্ণৌ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই