৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৭:২১

জোড়া গোলে বেনজেমাই রিয়ালের নায়ক

অনলাইন ডেস্ক

জোড়া গোলে বেনজেমাই রিয়ালের নায়ক

সংগৃহীত ছবি

বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও সুযোগ বেশি তৈরি করল রিয়াল ভাইয়াদলিদ। গোলপোস্টের নিচে ব্যস্ত সময় পার করতে হলো থিবো কর্তোয়ার। তবে বরাবরের মতোই রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান গোলরক্ষক যেন থাকলেন চীনের প্রাচীর হয়ে। অনেকটা সময় নিজের ছায়া হয়ে থাকা করিম বেনজেমা জ্বলে উঠলেন শেষ সময়ে। ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে দলকে নিয়ে গেলেন লা লিগার শীর্ষে।

ভাইয়াদলিদের মাঠে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে ২-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। শেষ দিকে সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান বেনজেমা। কষ্টে হলেও বছরের শেষটা প্রত্যাশিত হলো রিয়ালের। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে পার হলো কঠিন এক বাধা। শেষ দিকে ১০ জন নিয়ে খেলা স্বাগতিকরা কঠিন চ্যালেঞ্জ জানায়।

ফুটবল কিংবদন্তি পেলের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন দিয়ে শুরু হয় ম্যাচ। দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে ফিরে বেনজেমা-ভিনিসিউস জুনিয়ররা কেমন করেন, তা নিয়ে একটু শঙ্কায় ছিলেন কার্লো আনচেলত্তি। তবে শুরুটা ভালোই করে শিরোপাধারীরা।

প্রতিপক্ষের মাঠে দশম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত তারা। মার্কো আসেনসিওর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জর্দি মাসিপ। আলগা বল পেয়ে বাইলাইন থেকে নিচু ক্রস করেন দানি সেবাইয়োস। আসেনসিওর আগেই বল স্পর্শ করেন হাভি সানচেস। পা ছুঁয়ে বল লাগে তার হাতে, তবে হ্যান্ডবলের আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।

সাত মিনিট পর বেনজেমার অবিশ্বাস্য ব্যর্থতায় বেঁচে যায় ভাইয়াদলিদ। ভিনিসিউসের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান মাসিপ। আলগা বলে সুযোগ এসে যায় বেনজেমার সামনে। কিন্তু ছয় গজ দূর থেকে তিনি মারেন ক্রসবারের উপর দিয়ে। নিদারুণ ব্যর্থতা পুষিয়ে দেওয়ার সুযোগ পরের মিনিটেই পেয়ে যান বেনজেমা। সানচেসের ভুলে ভাইয়াদলিদের ডি-বক্সের কাছেই বল পান ফরাসি স্ট্রাইকার। কিন্তু শট নিতে অনেক দেরি করে ফেলেন তিনি, রক্ষণ দৃঢ় করে ফেলে স্বাগতিকরা। নষ্ট হয় রিয়ালের দারুণ একটি সুযোগ।

২৮তম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গা থেকে সানচেসের ভলি একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। দুই মিনিট পর সের্হিও লিওনের শট ঠেকিয়ে রিয়ালের ত্রাতা গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ৩২তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ পান ভিনিসিউস, তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন মাসিপ। চার মিনিট পর কোর্তোয়ার দুর্দান্ত সেভে বাড়েনি ব্যবধান। মিডফিল্ডার আলভারো আগুয়াদোর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক। ৩৭তম মিনিটে রকে মেসার শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট ঘেঁষে, স্বস্তির শ্বাস ফেলেন কোর্তোয়া।

দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালকে চেপে ধরে ভাইয়াদলিদ। ৬৭তম মিনিটে অলিম্পিক গোলে এগিয়েও যেতে পারত তারা। আগুয়াদোর কর্নার ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন কোর্তোয়া। পরের মিনিটে লিওনের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাত দিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে সমতা ধরে রাখেন তিনি। ৭৯তম মিনিটে বেনজেমার শট দূরের পোস্ট দিয়ে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান ভাইয়াদলিদ গোলরক্ষক। সেই কর্নার থেকে বল সানচেসের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি।

ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্বাগতিকরা। চতুর্থ রেফারির সামনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান লিওন। তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। পরে ঠাণ্ডা মাথার স্পট কিকে রিয়ালকে এগিয়ে নেন বেনজেমা। পিছিয়ে পড়ে যেন হতোদ্যম হয়ে পড়ে ভাইয়াদলিদ। ৮৯তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলেন বেনজেমা। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার কাছ থেকে পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন রিয়াল অধিনায়ক।

আসরে ৮ ম্যাচে এটি বেনজেমার সপ্তম গোল। ১৩ গোল করে চূড়ায় বার্সেলোনা স্ট্রাইকার রবের্ত লেভানদোভস্কি। এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেল দুই নম্বরে। এস্পানিওলকে হারিয়ে ফের শীর্ষে ফেরার সুযোগ আছে তাদের। ১৫ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে আছে ভাইয়াদলিদ।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর