৭ আগস্ট, ২০২৩ ১১:৪৪

নখ ভাঙা প্রতিরোধের ঘরোয়া পদ্ধতি

লাইফস্টাইল ডেস্ক

নখ ভাঙা প্রতিরোধের ঘরোয়া পদ্ধতি

প্রতীকী ছবি

অনেকে সময়-অসময়ে নখ ভাঙার সমস্যায় ভোগেন। আর গরমকালে পানির সংস্পর্শে যাওয়া হয় বেশি। সে কারণে এসময় নখ বেশি ভঙ্গুর হতে পারে। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, নখ ত্বকের চেয়ে এক হাজার গুণ বেশি পানি শোষণ করার ক্ষমতা রাখে। এর মানে হলো অতিরিক্ত পানির সংস্পর্শ নখকে দুর্বল এবং ভঙ্গুর করে ফেলে। প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নখ অনেকটা স্পঞ্জের মতো। যখন পানির মতো রাসায়নিক উপাদান নখের কোষের সংস্পর্শে আসে তখন তা প্রসারিত হয়। পানি বেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নখের ওপর চাপ ফেলে। 

অর্থাৎ গোসল করা, হাত ধোয়া, থালা-বাসন মাজা ইত্যাদি নখের ওপর চাপ ফেলে। ফলে নখ হয়ে যায় দুর্বল ও ভঙ্গুর। সাধারণত গরমকালে নখের অবস্থা আরও খারাপ হয়। কারণ এ সময়ে আমরা দীর্ঘক্ষণ পানির সঙ্গে থাকি। যেমন- পুল, সমুদ্রস্নান বা গোসল ইত্যাদি। তাই নখ অনেক বেশি নরম হয়ে যায়। 
 
নখ ভাঙা প্রতিরোধের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

এমন ময়েশ্চরাইজার বাছুন, যা হাতের পাশাপাশি নখেও লাগানো সম্ভব। গ্লাইসিন, আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, টাইরোসিন আর ভিটামিনে সমৃদ্ধ ময়েশ্চরাইজার নরম রাখবে আপনার হাত, সেই সঙ্গে নখেও এক পরত ময়েশ্চরাইজার লাগালে বজায় থাকবে তার আর্দ্রতা। কিউটিকলের পাশেও ময়েশ্চরাইজার লাগাতে ভুলবেন না।

কাপড় কাচা বা বাসন মাজার সময় গ্লাভস পরুন। রবারের দস্তানা পরে বাড়ির কাজ সারতে পারলে খুব ভালো হয়। তাতে হাত বারবার ভিজবেও না, আর্দ্রতাও হারাবে না। প্রতিবার কাজকর্ম সেরে যখন বিশ্রাম নিতে বসবেন, তার আগে হাত শুকনো করে মুছে পছন্দের কোনও তেল নখে লাগিয়ে নিন। 

নখের আকার ছোট রাখুন। তাতে নখের যত্ন নিতে সুবিধে হবে। নখ ফাইল করার সময় একদিকেই ফাইল চালান, তা না হলে নখ ভঙ্গুর হয়ে পড়তে পারে। হাত ধোয়া বা গোসল সেরে বেরনোর পরেই নখ ফাইল করবেন না। তখন নখ নরম থাকে, ফলে চট করে ভেঙে যায়।

সারাক্ষণ নেলপলিশ পরে থাকবেন না। সর্বক্ষণ নেলপলিশ পরে থাকলে সেই কেমিক্যালের প্রভাবে নখের স্বাস্থ্যহানি হয়, নখ শ্বাস নিতে পারে না। অ্যাসিটোনযুক্ত নেল পলিশ রিমুভারও নখের স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ। সপ্তাহে একবারের বেশি নেল পলিশ না ব্যবহার করাই ভালো।

সপ্তাহে একদিন অন্তত মিনিট দশেক ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে নখ ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ভালো কোনও কিউটিকল অয়েল দিয়ে নখের চারপাশে মালিশ করে নিন। গোসলের পরেও নখের আশপাশে তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলির পরত লাগানো জরুরি। জানেন কি, হাতের কাছে ভালো কোনও তেল না থাকলে মাখনও লাগানো যায় নখে? এক চামচ অলিভ অয়েল আর আধ চামচ লেবুর রসের মিশ্রণ বানিয়েও নখে তা লাগাতে পারেন।

খেয়াল রাখুন খাদ্যতালিকার প্রতি। আপনার খাদ্যতালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম আর পানি আছে তো? পুষ্টিকর খাবার না খেলে কিন্তু নখের স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপ হতেই থাকবে। বেশি পানি খাওয়া জরুরি কারণ তা আপনার শরীরকে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে।

শরীরের অন্যান্য স্থানের মতো নখেরও প্রয়োজন আর্দ্রতা রক্ষা ও ক্ষয় পূরণ। বিশেষজ্ঞরা বরাবরই নখ ভালো রাখতে ছোট রাখার পরামর্শ দেন। এতে পানি কম শোষিত হবে, পানির সংস্পর্শে যাওয়ার আগে কিউটিকেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। আর এসিটোন মুক্ত আর্দ্রতা রক্ষাকারী নেইল পলিশ রিমুভার বেছে নিতে হবে। প্রতিবার হাত ধোয়ার পরে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্রিম মালিশ করার পরামর্শ দেন। সেক্ষেত্রে শিয়া বাটার, নারিকেল ও জলপাইর তেলসমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা ভালো। কারণ-এগুলো নখে সুরক্ষার স্তর সৃষ্টি করে। এ ছাড়া রান্নাবান্না, তরকারি কাটা কিংবা হাঁড়ি-পাতিল ধোয়া-যাই করুন না কেন, অবশ্যই গ্লাভস পরে নেবেন। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেওয়া উচিত। এতে হাতে ময়লা লাগে না এবং নখে চাপ পড়ে না।

 
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর