শিরোনাম
১৮ আগস্ট, ২০২৩ ০৪:০০

১১ মাস পর মাঠে ফিরছেন বুমরাহ, চোখ শুধুই বিশ্বকাপে

অনলাইন ডেস্ক

১১ মাস পর মাঠে ফিরছেন বুমরাহ, চোখ শুধুই বিশ্বকাপে

ফাইল ছবি

ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে দীর্ঘ ১১ মাস পর ভারতীয় দলে ফিরেছেন পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। তার নেতৃত্বেই শুক্রবার থেকে আয়ারল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করছে ভারত। তবে জয় দিয়ে বুমরাহ’র প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় ভারত।

এশিয়া কাপের আগে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলে নিজেকে পরীক্ষা করে নেবেন বুমরাহ। তবে আয়ারল্যান্ড বা এশিয়া কাপ নয়, বুমরাহর লক্ষ্য শুধুই বিশ্বকাপ। এই বছর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতেই হবে বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতায় নামার জন্য অপেক্ষায় আছেন তিনি।

গত বছর সেপ্টেম্বরে পিঠের ব্যথার কারণে ক্রিকেটের বাইরে চলে যান বুমরাহ। অস্ত্রোপচার হয় তার। চোট সারিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেই মাঠে ফিরছেন তিনি। শুধু বোলার নয়, অধিনায়ক হিসেবেও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেখা যাবে বুমরাহকে।

বুমরাহ বলেন, এক দিনের বিশ্বকাপের আগে কোনো টেস্ট নেই। আমি শুধু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্য নিজেকে তৈরি করিনি। আমার লক্ষ্য সব সময়ই এক দিনের বিশ্বকাপ। সেটার জন্যই নিজেকে তৈরি করেছি। আমি ১০ থেকে ১৫ ওভার বল করেছি নিয়মিত। অনুশীলনে বেশি ওভার বল করলে অল্প ওভার বল করতে অসুবিধা হবে না। এক দিনের ম্যাচ খেলার জন্য নিজেকে তৈরি রাখছি। শুধু চার ওভার বল করব বলে ফিরিনি।

অনুশীলনে নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বুমরাহ। তিনি বলেন, কে আমার থেকে কী আশা করছে, সেটা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি শুধু উপভোগ করতে চাই। এত দিন ধরে ক্রিকেটের বাইরে কখনো থাকিনি। যে খেলাটাকে ভালোবাসি, সেটার জন্যই ফিরে এসেছি। ১১ মাস আগেও যেমন ছিলাম, এখনও তেমনই আছি। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস আছে। জানি অনেক দিন পর মাঠে ফিরছি। কিন্তু মাঠে ফিরে আমি খুশি। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। এখন আমি সুস্থ। মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।

এত দিন ধরে মাঠের বাইরে থাকা যে খুব যন্ত্রণার, সেটাও জানিয়েছেন বুমরাহ। তিনি বলেন, খুব হতাশ লাগে যখন চোট সারতে এত সময় লাগে। আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। চেষ্টা করছিলাম কীভাবে দ্রুত মাঠে ফেরা যায়। শরীরকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। এই ১১ মাসকে কখনও জীবনের খারাপ সময় হিসেবে দেখিনি। লোকে কী বলছে সেটা নিয়ে ভাবিনি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। ইতিবাচক মানসিকতা ছিল আমার। তবে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার কষ্টটা বুঝতে পেরেছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর