ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস লিগের নিয়মিত দর্শক ছিলেন। একজন খেলা পাগল মানুষ হলেও কখনো কোনো ফেডারেশনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। অথচ ইমরুল হাসান প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি পদে নির্বাচন করে সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হলেন। তার এমন ক্যারিশম্যার পেছনে বড় কারণ ছিল বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দেওয়া। এমন বিচক্ষণ সংগঠককে প্রয়োজন বলেই ভোটের লড়াইয়ে খুব একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়নি। সহসভাপতি হওয়ার পর ফেডারেশনে যে সাব-কমিটিগুলো হয় সেখানে ইমরুল হাসান ঢাকা মহানগরী লিগ কমিটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। তবে ফেডারেশনের ভেতরেই অনেকে এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। কারণ ইমরুলের সাংগঠনিক যে দক্ষতা ও মেধা তাতে ডেভেলপ কিংবা জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির দায়িত্বে মানাত।
যাক ইমরুল হাসানের এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ ছিল না। তার কথা, যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা আমি এমনভাবে পালন করব যাতে নতুনত্ব থাকে। সত্যিই তাই মহানগরীর লিগ কমিটির দায়িত্ব পেয়ে অবহেলিত জুনিয়র লিগগুলো জেগে ওঠে তারই যোগ্য নেতৃত্বে। এক সময়ে অনিয়মিত থাকলেও প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পাইনিয়ার লিগ শুধু নিয়মিত মাঠে গড়াচ্ছে না নতুনত্বও এসেছে। ইমরুলের দক্ষতা দেখে বাফুফের অনেকে চেয়েছিলেন, নতুনত্ব আনতে পেশাদার লিগের দায়িত্বও দেওয়া হোক ইমরুল হাসানকে।
সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও এ ব্যাপারে একমত ছিলেন। সালাম মুর্শেদীর পর সালাউদ্দিন লিগ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। আজ তিনি এই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে সহসভাপতি ইমরুলের হাতে নতুন দায়িত্ব তুলে দেন। বাফুফে সভাপতি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমি পরীক্ষিত ও যোগ্য লোকের হাতে দায়িত্ব তুলে দিলাম। আমার বিশ্বাস সে সফল হবে। ইমরুল হাসান বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি। তাই লিগ কমিটির দায়িত্ব নিরপেক্ষতার সঙ্গে পালন করাটা কেউ কেউ চ্যালেঞ্জ মনে করছেন। ইমরুল এ ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। আমি নিরপেক্ষ কি না তা আমার কাজেই প্রমাণ দেব। খুব শিগগিরই ক্লাবগুলো নিয়ে বসব। আমি একলা চলা রীতিতে বিশ্বাসী নই। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে কাজ করতে চাই।