কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া রহস্যময় স্পিনার মুজিব উর রহমানকে ‘ছাড় দিয়েছে’ আফগানিস্তান। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তাকে। তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য শনিবার (০৬ জানুয়ারি) ১৯ সদস্যের দল ঘোষণা করে আফগানিস্তান। এই সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছেন রাশিদ খানও। তবে তার খেলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। পিঠের অস্ত্রোপচারের পর এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি।
বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ানো মুজিব, নাভিন উল হাক ও ফাজালহাক ফারুকি ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। এতে বেজায় ক্ষেপে যায় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। ‘দেশের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখায়’ শাস্তি হিসেবে তাদেরকে দুই বছর বিদেশি লিগ খেলতে অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। শাস্তি পেয়ে দ্রুতই মনোভাবে বদল আসে নাভিন ও ফারুকির। দেশের হয়ে খেলার ‘প্রবল তাড়না’ দেখিয়ে মুক্তি পান দুজন। সদ্য সমাপ্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও ছিলেন তারা।
তখন মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে বিগ ব্যাশে খেলছিলেন মুজিব। কিছুদিন পর মুজিবের অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনাপত্তিপত্র বাতিল করে দেয় এসিবি। এবার তাকে যোগ করা হলো ভারত সিরিজের দলে। গত জুলাইয়ের পর প্রথমবার জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছেন এই স্পিনার। এই বিভাগে তার সঙ্গী দুই রিস্ট স্পিনার কাইস আহমেদ ও নুর আহমাদ। নিয়মিত অধিনায়ক রাশিদকে নিয়ে শঙ্কা থাকায় ভারত সিরিজেও আফগানদের নেতৃত্ব দেবেন ইব্রাহিম জাদরান। তার নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে আফগানিস্তান।২০২২ সালের জুলাইয়ের পর স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না খেলা রেহমাত শাহ ধরে রেখেছেন জায়গা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখনও পা রাখেননি তিনি। আমিরাত সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মাদ ইসহাক, সেদিকউল্লাহ আটাল, দারভিশ রাসুলি। ভারতের বিপক্ষে এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে আফগানিস্তান। মোহালিতে আগামী বৃহস্পতিবার শুরু দুই দলের লড়াই। পরের দুই ম্যাচ ইন্দোর ও বেঙ্গালুরুতে ১৪ ও ১৭ জানুয়ারি। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সংস্করণে এটি দুই দলের শেষ সিরিজ।
আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল: ইব্রাহিম জাদরান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইকরাম আলিখিল, হাজরাতউল্লাহ জাজাই, রেহমাত শাহ, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মাদ নবি, কারিম জানাত, আজমতউল্লাহ ওমারজাই, শারাফউদ্দিন আশরাফ, মুজিব উর রহমান, ফাজাল হাক ফারুকি, ফরিদ আহমাদ, নাভিন-উল-হাক, নুর আহমাদ, মোহাম্মাদ সালিম, কাইস আহমেদ, গুলবাদিন নাইব ও রাশিদ খান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ