ক্যারিবীয় সাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র সেন্ট ভিনসেন্ট। সবুজ বৃক্ষরাজিতে ঘেরা ছোট ছোট পাহাড়বেষ্টিত দ্বীপরাষ্ট্রটি নয়নজুড়ানো। রাজধানী কিংস টাউনের আরনেস ভেল স্টেডিয়ামটি আরও সুন্দর। মনজুড়ানো স্টেডিয়ামটিতে টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ২০১৩ সালের পর। প্রায় ১১ বছর আগে এ স্টেডিয়ামে দুটি ২০ ওভারের ম্যাচ খেলেছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের পর মাঠের সবুজ ঘাসে আজ খেলবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। টি-২০ বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট খেলতে দুই দলের হেভিওয়েট লড়াই শুরু হবে রাত সাড়ে ৮টায়। যে দল জিতবে, তারাই সুপার এইটের পথে পাইপ লাইনে উঠে যাবে।
এই ম্যাচে নামার আগে অনুশীলন সেশন করে বাংলাদেশ দল। সে অভিজ্ঞতা থেকে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘কন্ডিশন নিউইয়র্কে যা ছিল তার চেয়ে বেটার মনে হয়েছে। চ্যালেঞ্জ আছে কারণ বাতাস আছে অনেক। বোলারদের একটু সাহায্য আছে যতটুকু ব্যাটিং করে বুঝলাম, কিন্তু আশা করব যে কালকে ভালো উইকেটেই খেলা হবে। আমরা জানি না আসলে। যে রকমই উইকেট থাকবে অইটা মানিয়ে নিয়েই আমরা খেলার চেষ্টা করব।’
এই মাঠের পরিসংখ্যান বলছে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন। আগে যে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এখানে হয়েছে, ১৫৮ আর ১৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও জিতেছে পাকিস্তান।শান্তর কাছে অবশ্য দু'রকম মনে হয়েছে, ‘যদিও আমরা সেন্টারে ব্যাটিং করেছি। সেন্টারের দুই উইকেট দুই রকম আচরণ করেছে। যেরকম ব্যাটারের কাছ থেকে ফিডব্যাক পেলাম বা আমি যখন ব্যাটিং করলাম। তো এটা বলা মুশকিল যে কালকের ম্যাচে কত রানের উইকেট হবে। একজন ব্যাটার বা বোলার কত তাড়াতাড়ি আমরা উইকেটটা রিড করছি এবং সেই অনুযায়ী ব্যাটিং করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডে বাংলাসেশের সুখস্মৃতি আছে। ২০০৯ সালে এখানে টেস্ট জিতেছেল বাংলাদেশ দল। সে দলের দুই সদস্য সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদুল্লাহ এবারের বিশ্বকাপ দলেও আছেন। তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতার ভাগ নিচ্ছেন দলের বাকিরা।
সে প্রসঙ্গ তুলে শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের সম্ভবত প্রথম অধিনায়কত্ব এই মাঠ থেকে শুরু হয়। সাকিব ভাই বলছিল, মাশরাফি ভাই চোটে পড়েছিলেন। রিয়াদ ভাইয়ের সম্ভবত ৫ উইকেট আছে টেস্টে। হ্যাঁ আলাপ হয়েছে মাঠ সম্পর্কে।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ