সাকিব আল হাসান আরও একবার প্রমাণ করলেন, তিনিই দেশের অদ্বিতীয় ক্রিকেটার! বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিউক্লিয়াস। গতকাল সেন্ট ভিনসেন্টের আরনেস ভেলে ক্রিকেট ফিরে আসার ম্যাচে সমালোচকদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। ক্যারিবীয় সাগরের ছোট্ট দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্টের ম্যাচটির আগে প্রশ্নটি ঘোরাফেরা করছিল-সাকিব কি অবসরে যাচ্ছেন? ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের অনেকে বলাবলিও করেছেন, ৩৭ বছর বয়সি সাকিবের সময় ফুরিয়ে এসেছে। তবে সাকিব হচ্ছেন ভিন্ন ঘরানার ক্রিকেটার। যত বেশি চাপে থাকেন, তত বেশি পারফরম্যান্স করেন। গত ২০ মাস যে আকাশসম চাপে ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, তাকে নিয়ে প্রশ্নটি ঘোরাফেরা করাই ছিল স্বাভাবিক। অবশেষে হিমালয়সম চাপ সামলে গতকাল পরিচিত আরনেস ভেলে আলো ছড়ান। অসাধারণ ব্যাটিং করে সব সমালোচনার জবাব দেন। খেলেন ৬৪ রানের নান্দনিক ইনিংস। ৪৬ বলের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৯টি চার। তার এই ইনিংসের কল্যাণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচসেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব জানান, আজ তার দিন ছিল। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নিজেরটা নিয়ে আসলে কখনো চিন্তিত ছিলাম না ক্যারিয়ারে। আমি মনে করি না যে আমি কখনও এই চিন্তা করেছি।
দলের জন্য যদি অবদান রাখতে পারি তাহলে এটা ভালো লাগে। আজকে আমার দিন ছিল আমি করতে পেরেছি। সামনে হয়ত অন্য কারও দিন আসবে।’ধারণা করা হচ্ছিল সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেটের ধরণ অনুযায়ী বল হাতে সাফল্য পেতে পারেন সাকিব। তবে হলো উল্টোটা। ব্যাটিং বিভাগের দুর্গতির সময়ে জ্বলে উঠলেন তিনি। চারে নেমে দায়িত্ব নিয়ে নিজের ইনিংস যেমন বড় করেন সাকিব, তেমনি দলীয় সংগ্রহও বাড়িয়ে নেন তিনি।
নিজের ইনিংসটি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পারলে তো সবসময় ভালো লাগে। গুরুত্বপূর্ণ ছিল শীর্ষ চার থেকে কেউ একজন বড় স্কোর করা কিংবা বেশি সময় ব্যাটিং করা, আজকে আমার দিন ছিল আলহামদুলিল্লাহ আমি করতে পেরেছি। হয়ত পরে অন্য কারও সময় আসবে, তার করতে হবে। এভাবে আসলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ যায়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আসলে পারফরম্যান্সমুখী চিন্তা কেউ করে বলে আমার কাছে মনে হয় না।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ