দুর্বল প্রতিপক্ষ নেপালের সঙ্গেই দক্ষিণ আফ্রিকার চরম ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটলো। ১১.২ ওভারে এক উইকেটে ৬৮ রান করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার পথেই ছিল প্রোটিয়ারা। এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে মাত্র ৪৭ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৫ রানেই ইনিংস শেষ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
শনিবার (১৫ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনের সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নেপাল। প্রথমে ব্যাট করতে রিজা হেনড্রিকস আভাস দিয়েছিলেন বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর। কুইন্টন ডি কক আর এইডেন মার্করাম খুব বড় স্কোর না করলেও রিজাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেই কুশাল ভুর্তেল দেখালেন নিজের ভেল্কি।
চতুর্থ ওভারে আইরের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন ডি কক। এবারের আসরে একেবারেই হাসেনি অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপারের ব্যাট। নেপালের বিপক্ষেও ছিলেন সাদামাটা। মোটে ১০ রান করে সাজঘরে তিনি। এরপর অধিনায়ক মার্করামকে নিয়ে রিজা হেনড্রিকসের ৪৬ রানের জুটি। তবে সেটার জন্য তারা খেলেছেন ১০ ওভারের কাছাকাছি।২২ বলে ১৫ করে তুলনামূলক ধীরগতিতে ছিলেন মার্করাম। তিনিই ফিরলেন আগে। কুশালের দিনের প্রথম শিকার হয়ে। হেনরিখ ক্লাসেন আর ডেভিড মিলার এলেন আর গেলেন। একজনের রান ৩, আরেকজন ৭। দুজনেই কুশালের বলে ক্যাচ দিয়েছে। রিজা মাঝে ফেরেন ৪৩ রান করে। ওপেনিং পার্টনার ডি ককের মতো তিনিও ফেরেন দীপেন্দ্র সিং আইরের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে। শেষদিকে ত্রিস্টান স্টাবস যা একটু রানের দেখা পেয়েছেন। তার ১৮ বলে ২৭ রানের ওই ক্যামিও ইনিংসটাই প্রোটিয়াদের সংগ্রহ নিয়ে গিয়েছে ১১৫ পর্যন্ত। নেপালের হয়ে ৪ উইকেট কুশালের। আর ৩ উইকেট পেয়েছেন দীপেন্দ্র।
এই ম্যাচের আগে টানা তিন ম্যাচে শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশকে হারিয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইটে খেলা নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে নেপাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে ৬ উইকেটে হেরে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল শ্রীলংকার বিপক্ষে। সেই ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ