টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করলেও দলের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
কেননা গ্রুপ পর্বে টপ অর্ডার তো বটেই ব্যাটারদের মধ্যে কেউই সেভাবে ছন্দে নেই। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের মধ্যে ফিফটি এসেছে কেবল সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। তিনি নিজেও রানের দেখা পেয়েছেন অনেক দিন পর। কিন্তু পরের ম্যাচেই হাসেনি তার ব্যাট।
এ বিষয়ে শান্ত বলেন, ‘এটা তো আসলে সম্ভব না বোলাররা প্রতিদিনই ম্যাচ জেতাবে। আমি আশা করি প্রতিদিনই জেতাক। তবে ব্যাটারদেরও দায়িত্ব আছে। কেন হচ্ছে না এটা সবাই চেষ্টা করছে বের করার। কিন্তু কোনোভাবেই হচ্ছে না এবং এটা মেনে নেওয়ার মত না। হ্যাঁ, এই উইকেট ১৪০-১৫০ রান করার মত উইকেট ছিল। যেটা আমরা করতে পারিনি। অবশ্যই এটা আমাদের জন্য একটা চিন্তার কারণ।’শান্ত আরও বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টেই যদি দেখি খুব একটা বড় স্কোর হচ্ছে না। কোনো দলই বড় স্কোর করতে পারছে না। বেশিরভাগ ম্যাচই এমন কম রান হচ্ছে, ডিফেন্ড করে জিততে হচ্ছে। যে কম রানটা হচ্ছে এতো কম রানেরও উইকেট না। হয়ত ১৩০-১৪০ রানের উইকেট ছিল। এই টুর্নামেন্টে একদম খুব ভালো ফ্ল্যাট ট্র্যাক সেটা আমি বলব না।’
পরবর্তী রাউন্ডে ব্যাটিং চিন্তার কারণ হবে কি না এমন প্রশ্নে শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই চিন্তার কারণ। এভাবে ব্যাটিং করলে আমার মনে হয় না যে দলের জন্য খুব একটা ভালো দিক হবে। কারণ শুরুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শুরুটা পাচ্ছি না। শেষের ব্যাটাররাও ওইরকম ভাবে শেষ করতে পারছে না। ফলে অবশ্যই চিন্তার কারণ। এখান থেকে আমাদেরকেই বের হয়ে আসতে হবে। কীভাবে বের হয়ে আসতে হবে এটা নিয়ে অনেক প্ল্যান সবসময়ই হয়। স্টিল এই ভুলগুলা বারবারই হচ্ছে। তারপরেও আমি বলব পরের রাউন্ডে এই ভুলগুলা যত কম করা যায়।’
সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান। এই রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। পরের ম্যাচে লড়বে ভারতের বিপক্ষে। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলবে শান্তর দল।
সেখানে এই তিন দলের মধ্যে অন্তত দুই দেশকে হারালেও সেমিতে যাওয়ার বড় সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশ দলের।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত