প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়ায় কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতেই হয়নি নোভাক জোকোভিচকে।সেমিফাইনালেও পড়েননি খুব একটা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়। তবে এই টেনিস গ্রেট নিশ্চয়ই জানতেন আসল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে ফাইনালে। রাফায়েল নাদালের টানা অষ্টম উইম্বলডন জয়ের রেকর্ড ছুঁতে জোকোভিচকে হারাতে হত দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আলকারেজকে। যার কাছে হেরে গতবার ফাইনালেও হারের স্বাদ পেয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী চোটে জর্জর এই সার্বিয়ান তারকা এবারও পুড়েলন হারের আক্ষেপে।
এই ঘাসের কোর্টেই গত বছর নোভাক জোকোভিচকে ৫ সেটের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে পরাজিত করে উইম্বলডন শিরোপা জিতেছিলেন কার্লোস আলকারাজ। সেই ঘাসের কোর্টেই রবিবার (১৪ জুলাই) জোকোভিচকে সরাসরি সেটে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় উইম্বলডন জিতেছেন তিনি। সেন্টার কোর্টে পুরুষ এককের ফাইনালে এক ঘণ্টার মধ্যেই দুটি সেটে জিতে যান আলকারাজ। তৃতীয় সেটেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি জকোভিচ। ফলে ৬-২, ৬-২, ৭-৬ সরাসরি সেটেই জিতেছেন আলকারাজ।
আলকারাজ কতটা তৈরি ফাইনালের আড়াই ঘণ্টায় বুঝিয়ে দিয়েছেন। সার্ভ, ভলিতে এলোমেলো করে দিয়েছেন জোকোভিচের মতো কিংবদন্তিকে। তিন বছরের মধ্যে চতুর্থ গ্র্যান্ডস্লাম জিতে টেনিসে নতুন রাজার আগমনের বার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে জোকোভিচ সম্ভাবনা জাগিয়েও ছুঁতে পারেননি রজার ফেদেরারকে। ৭টি উইম্বলডন শিরোপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এখনো ৮টি গ্র্যান্ডস্লাম নিয়ে সবার ওপরে ফেদেরার।ফাইনালে মাঝেমধ্যে জোকোভিচের ঝলক দেখা গেলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ফাইনালে নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। হতে পারে হাঁটুর সমস্যায় খানিকটা হলেও কাতর ছিলেন। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করিয়ে নেমেছিলেন উইম্বলডন খেলতে। আগে কোনো সমস্যা না হলেও গতকাল ফাইনালে আলকারাজের গতির সামনে খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ