২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:৩৫

ম্যারাডোনার দেহাবশেষ স্থানান্তরে বাধা নেই

অনলাইন ডেস্ক

ম্যারাডোনার দেহাবশেষ স্থানান্তরে বাধা নেই

ফাইল ছবি

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার দেহাবশেষ কবরস্থান থেকে সরানোর অনুমতি দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সের কেন্দ্রস্থলে সমাধিস্তম্ভ বানিয়ে তার দেহাবশেষ সেখানে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ম্যারাডোনার কন্যাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ২০২০ নভেম্বরে ৬০ বছর বয়সে মারা যান ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বুয়েনস আয়ার্সে একটি বাসা ভাড়া করে ম্যারাডোনাকে সেখানে রাখা হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের দুই সপ্তাহ পর ম্যারাডোনাকে তার বিছানায় মৃত পাওয়া যায়। হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি।

ম্যারাডোনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সন্তানেরা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি চিঠিতে তাদের বাবার দেহাবশেষ স্থানান্তরের অনুরোধ করেছিলেন। ম্যারাডোনার পাঁচ সন্তানের অনুরোধে কিংবদন্তির এস্টেটের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা প্রশাসক সেবাস্তিয়ান বাগলিয়েত্তোর সই করা সেই চিঠিতে বলা হয়,‘চিরকালীন বিশ্রামের একটি জায়গা, যেখানে মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসবে, যারা প্রতিদিন বিভিন্নভাবে তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে।’

ম্যারাডোনার মেয়েরা অনুরোধ করেছিলেন, ‘এম১০ মেমোরিয়াল’ নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বানিয়ে তাদের বাবার দেহাবশেষ যেন সেখানে স্থানান্তর করা হয়। 

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যে আদালত কিংবদন্তি ম্যারাডোনার দেহাবশেষ স্থানান্তরের অনুমোদন দিয়েছেন। সেইসঙ্গে আদালত ম্যারাডোনার মৃত্যুর পেছনে তার চিকিৎসক দলের কোনো ধরনের অবহেলা ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছেন।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম বুয়েনস আয়ার্স টাইমস জানিয়েছে, সান ইসিদ্রোর তিন নম্বর ফৌজদারি আদালতে ম্যারাডোনার দেহাবশেষ স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। বুয়েনস এইরেসের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে বেলা ভিস্তায় এখন সমাহিত আছেন ম্যারাডোনা। পুয়ের্তো মাদেরোয় সমাধিস্তম্ভ বানিয়ে সেখানে তার দেহাবশেষ স্থানান্তর করা হবে।

প্রস্তাবিত নতুন সমাধিস্তম্ভের বিষয়ে ম্যারাডোনার সন্তানদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জায়গাটি তার ‘বর্তমান সমাধির তুলনায় নিরাপদ এবং সব আর্জেন্টাইন ও বিশ্বের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।’

বিডি প্রতিদিন/নাজিম

সর্বশেষ খবর