সাকিব আল হাসান এবার আনুুষ্ঠানিকভাবেই নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে। টেস্ট সিরিজ চলাকালে কানপুর টেস্টের আগেই তিনি এই সংস্করণকে বিদায় জানান। যদিও তিনি একটা ‘যদি কিন্তু’র হিসেব রেখেছেন। বিসিবি চাইলে এই ফরম্যাটে আবারও তিনি ফিরতে পারেন।
সেই চ্যালেঞ্জ শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। আজ এ ম্যাচ সামনে রেখে গোয়ালিয়রে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। সেখানে উঠল সাকিবের না থাকার প্রসঙ্গ। হৃদয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সাকিবকে ছাড়া খেলার চাপটা কেমন?
হৃদয় বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ সব সময়ই থাকে। যদি সেটা মাথায় থাকে তাহলে তো পারফর্ম করা যাবে না। আমাদের প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে, ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আর সাকিব ভাই নেই। অবশ্যই আমরা সাকিব ভাইকে মিস করব। কিন্তু এখান থেকে (জাতীয় দল) একদিন না একদিন সবাইকে যেতেই হবে। আশা করি, আমরা সাকিব ভাইয়ের শূন্যতা ভালোভাবে পূরণ করব।’এদিকে এবার বাংলাদে-ভারত সিরিজ জুড়েই মাঠের খেলার চেয়ে মাঠের বাইরের উত্তাপই বেশি। বিশেষত কয়েকটি কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হুমকির কারণেই তৈরি হয়েছে এই উত্তেজনা। যে কারণে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ঘিরেও নিয়োগ করতে হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের নিরাপত্তায় আড়াই হাজার পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
হিন্দু মহাসভাসহ ভারতের কয়েকটি চরমপন্থী সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই সাথে গোয়ালিয়রে আগামী সোমবার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত-পরবর্তী ঘটনায় হিন্দুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে ওই সংগঠনগুলো। তারা রবিবারের ম্যাচটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছে। এমনকি হিন্দু মহাসভা ‘গোয়ালিয়র বন্ধ্’–এর ডাকও দিয়েছিল।
এর আগে নিরাপত্তা নিয়ে গোয়ালিয়র পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘আমরা গাছের একটা পাতও নড়তে দেব না। এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।’ গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচের দিন পুলিশ সদস্যরা বেলা ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চোখ রাখছি।’
গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামটিতে এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এ মাঠের দর্শক ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার। তিন ম্যাচ সিরিজের পরের দুটি টি-টোয়েন্টি হবে দিল্লি ও হায়দরাবাদে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল