টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই ব্যাটারদের তাণ্ডব। বোলারদের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ের বিপরীতে বড় বড় ছক্কা! ১৪ বছরের এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে হ্যাটট্রিকের ঘটনা ঘটেছে মাত্র তিনটি। যার দু'টিই আবার ঘটেছে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে!
১. বিশ্বকাপের প্রথম মৌসুমেই ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কেপটাউনে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের দেখা পান অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা পেসার ব্রেট লি। তাও নিজের শেষ ওভারে। ১৬.৩ বলে সাকিবকে কট বিহাইন্ড করে পরের বলে ইয়র্কারে মাশরাফিকে বোল্ড করেন লি। পঞ্চম বলে অলক কাপালিকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান বনে যান অস্ট্রেলিয়ান গতিতারকা।
২. ছয় বিশ্বকাপ পর আবারও হ্যাটট্রিক দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। তাও আবার ডাবল হ্যাটট্রিক! চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (১৮ অক্টোবর) শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডাচদের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের ম্যাচে। ডাচদের ইনিংসের দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে রিভিউ নিয়ে কলিন অ্যাকারম্যানকে কট বিহাইন্ড করেন আইরিশ বোলার কার্টিস কাম্ফার। তৃতীয় বলে রায়ান টেন ডেসকাটকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন কাম্ফার। চতুর্থ বলে উইকেটরক্ষক স্কট এডওয়ার্ডসকে রিভিউ করে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে কাম্ফার বনে যান এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকম্যান। আর পঞ্চম বলে রোইয়েলফ ফন ডার মারউইকে বোল্ড করে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে যান এই আইরিশ পেসার। টানা চারবলে চার উইকেট নিয়ে হয়ে যান ডাবল হ্যাটট্রিকম্যান।৩. এবারের হ্যাটট্রিকের গল্পটা একটু অন্যরকম। হ্যাটট্রিকটা হয়েছে দুই ওভার মিলিয়ে। ৩০ অক্টোবর শারজাহতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ১৫ ওভারের খেলা চলছিল তখন। ওভারের শেষ বলে এইডেন মারক্রামকে বোল্ড করেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। হাসারাঙ্গা চমকটা জমিয়ে রেখেছিলেন নিজের শেষ ওভারের জন্যই। ওভারের প্রথম বলে সেট ব্যাটার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে কাউ কর্নারে পাথুম নিসাঙ্কার ফাঁদে ফেলেন হাসারাঙ্গা। পরের বলেই ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস লংঅনে ভানুকা রাজাপাকসের তালুবন্দী হলে বিশ্বকাপের তৃতীয় হ্যাটট্রিক আসে এই লঙ্কান লেগির হাত ধরেই।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ
