২০০৭ সালে সেই ম্যাচটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। আর গতকালে ম্যাচটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। সে বার ছিল একটি স্কুপ শট। এ বার দু’টি। ২০০৭ সালের পর ২০২১ সাল। ১৪ বছর পরে সেই স্কুপ শটই শেষ করে দিল পাকিস্তানের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। সে বার মিসবাহ উল হকের স্কুপ শট শেষ করে দিয়েছিল পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা। এ বার ম্যাথু ওয়েডের দু’টি স্কুপ শট সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারিয়ে দিল পাকিস্তানকে।
২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে। শেষ ওভারে ১৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের, হাতে ছিল এক উইকেট। ক্রিজে ছিলেন মিসবাহ ও মোহাম্মদ আসিফ। যোগিন্দর শর্মার প্রথম বলটি ওয়াইড হয়। পরের বলে মিসবাহ রান নিতে পারেননি। তার পরের বলে ছক্কা মারেন। শেষ চার বলে ছয় রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, পাকিস্তানই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে। যোগিন্দরের ফুল লেংথ বল শর্ট ফাইন লেগের উপর দিয়ে মিসবা স্কুপ মারতে যান। ব্যটে-বলে একেবারেই হয়নি। বল সোজা শ্রীশান্তের হাতে চলে যায়। পাকিস্তান পাঁচ রানে হেরে যায়।গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের সামনে ছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ দু’ ওভারে ২২ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়েডের ক্যাচ ফেলেন হাসান আলি। শাহিন শাহ আফ্রিদি পরের বলটি ইয়র্কার দিতে গিয়েছিলেন। বল ইয়র্কার লেংথের একটু আগে পড়ে। ওয়েড শর্ট ফাইন লেগের উপর দিয়ে ছয় মারেন। পরের বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছয় মারেন ওয়েড। এরপর আরও একটি ইয়র্কার দিতে যান আফ্রিদি। ওয়েড এই বলটিও স্কুপ করে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের মাথার উপর দিয়ে ছয় মারেন। এক ওভার বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হেরে যায় পাকিস্তান।
মিসবাহ’র একটি এবং ওয়েডের দুটি স্কুপ শটে পাকিস্তানের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন আরও একবার শেষ হয়ে গেল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন