৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৩৬

বাংলাদেশ ব্যাটে এগিয়ে-পিছিয়ে যেখানে

অনলাইন প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাটে এগিয়ে-পিছিয়ে যেখানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। অবসরের কারণে মুশফিকুর রহিম ও অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালও নেই দলে। এবার তারুণ্যের স্লোগান নিয়েই বিশ্বমঞ্চে নামতে যাচ্ছেন টাইগাররা।

বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালাই করে নিতে নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। সেখানে বসেই ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স জানিয়েছেন, তরুণ এই দল বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি এই দল নিয়েই আশাবাদী।

তবে মাঠের খেলা বলছে ভিন্ন কথা। ওপেনিংয়ে সাব্বির রহমান বাজিমাত করতে পারছেন না। এই পজিশনে তিন ম্যাচ খেলে সাব্বির করেছেন মাত্র ১৭ রান। তবে এ পর্যন্ত ওপেনিং পজিশনে খেলে মেহেদী মিরাজ সফলই বলা যায়। ফলে টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘদিন ওপেনিংয়ে যে সঙ্কট ছিল, তা আপাতত খানিকটা ওঠা গেছে। যদিও মিরাজকে যোগ্য সঙ্গ কে দেবেন, তা এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়।

তিন নম্বরে খেলছেন সাকিব আল হাসান। তার মতো অভিজ্ঞতার ক্রিকেটার এই বিশ্বকাপে কমই আছে। বাংলাদেশ এখানটায়ও অনেকটা এগিয়ে থাকবে। চারে লিটন দাস আছেন, আছেন আফিফ হাসান ধ্রুবও। তাই মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারটাও সুরক্ষিত বলা যায়। ছয়-সাতে নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির রাব্বি, মোসাদ্দেক হোসেনও হাল ধরতে পারেন ভালোই। যদিও এই পজিশনে ইয়াসির রাব্বি এখনও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি।

তবে ব্যাটে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা যেখানে, দুর্বলতাও সেখানে। ব্যাটাররা বিশ্বমঞ্চে নার্ভ ধরে রাখতে পারেন না। অধিকাংশ সময়ই তাদের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ধুঁকতে দেখা যায়। আবার কাগজে কলমে যতোই শক্তিশালী মনে হোক কলাপস করলে বাংলাদেশ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।

যেমন সাব্বির রহমানের মাঝে খালেদ মাহমুদ সুজন ফিয়ারলেস মানে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের ভূত দেখেছেন কিন্তু বাস্তবে এই ব্যাটার মাঠে থিতুই হতে পারছেন না। খেলার প্রতি তার নিবেদনও নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন আছে ভক্তদের মনে। কারণ তিনি মাঠের চেয়ে সোশ্যালেই সরব বেশি। লিটন কুমার দাস, এখন আঁধারের আলো। তবে গেল বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা ভিন্ন বার্তাই দিচ্ছে। নান্দনিক লিটন বিশ্বমঞ্চে আত্মবিশ্বাসীই হতে পারেননি। যদিও উল্টো বার্তা দিচ্ছে তার ২০২২ সালের পরিসংখ্যান।

সাকিব আল হাসানও সিপিএলে ভালো করেছেন। তবে ব্যাট হাতে টি-টোয়েন্টি সাম্প্রতিক তার কার্যকরী ইনিংসের সংখ্যা খুবই কম। এশিয়া কাপের দুই ম্যাচে সাকিবের দুই ম্যাচের রান যথাক্রমে ৯ বল থেকে ১১ এবং ২২ বলে ২৪। আর ২০২২ সালে ৭ ম্যাচে তার রান ১৫১, সর্বোচ্চ ৬৮। সহঅধিনায়ক সোহানও সাকিবের সমান ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩০ রান। যদিও তার স্ট্রাইকরেট আসা জাগানিয়া। কিন্তু তার ব্যাটিং টেকনিক যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ইয়াসির আলী রাব্বি, নাসুম আহমেদ, এবাদত হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাব্বির রহমান।

স্ট্যান্ডবাই : শেখ মেহেদী হাসান, শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন এবং সৌম্য সরকার।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর