২৯ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৫৬

বিতর্কিত শব্দটিকেও ‘বিতর্কিত’ করে ফেললেন সাকিব...

অনলাইন প্রতিবেদক

বিতর্কিত শব্দটিকেও ‘বিতর্কিত’ করে ফেললেন সাকিব...

বিতর্কিত শব্দটিকেও ‘বিতর্কিত’ করে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। বিতর্ক এখন আর সাকিবের সমার্থক শব্দ নয় বরং এখন সাকিব শব্দটাই বিতর্কের বিকল্প শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরে টিমের পারফর্ম্যান্স মোটেও ভালো না। তবে সাকিব ব্যাটে বলে আহামরি কিছু করতে না পারলেও বিতর্কে তার ফর্ম তুঙ্গে। ব্রিসবেনে তিনি বিতর্কের শুরু করেছেন, সেই বিতর্কের বৃহস্পতি তুঙ্গে তুলেছেন সিডনিতে।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ব্রিসবেনে অবস্থান করছিল বাংলাদেশ। কুইন্সল্যান্ডের রাজধানীতে থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে পুরো বাংলাদেশকে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে শোনা যায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের প্রভাবশালী সদস্যরা বাংলাদেশ দলকে ওই নৈশভোজে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। ওই আয়োজনেও উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল।

ক্রিকেটাররা ওই নৈশভোজে অংশ নিলেও নাখোশ ছিলেন। এমনকি সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ সাকিবসহ কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে ছবি তুলতে এবং ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ স্বাক্ষর দিতে অনুরোধ করলেও দলের টাইগাররা সাড়া দেননি বলে জানা যায়। সাকিবও সেদিন তার জন্য রাখা বিশেষ ব্যাটে সই করেননি, বক্তৃতাও সেরেছিলেন এক বাক্যে।

তখন সেই ঘটনাকে বিসিবির বাজে সিদ্ধান্তের বিপক্ষে সাকিবের প্রতিবাদ হিসেবেই দেখেছিল অনেকে। তবে গণেশ উল্টে গেল সিডনিতে। এবার সাকিব নিজেই গেলেন প্রবাসীদের এক আয়োজনে, সাথে নিলেন তাসকিনকে। আর সেই খবর নাকি বোর্ডের কেউই জানে না।

আবার এমন দিনে গেলেন যেদিন তার দল হেরেছিল ১০৪ রানে সাউ আফ্রিকার কাছে। ‘প্রতিবাদী’ সাকিবের এ ইউটার্ন অনেককেই অবাক করেছে। 

জানা গেছে বোর্ডের ভেতরের কয়েকজন সদস্য নাকি সাকিব এবং তাসকিনকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে ঝোপ বুঝে কোপ মারার নীতিতে বিশ্বাসী সাকিব ব্রিসবেনের ফায়দাটা পুরোপুরি তুলে নিয়েছেন সিডনিতে। বিসিবিও পুরনো পাপের কথা মনে করে সাকিবদের বেশিকিছু বলতে পারেনি।

সিডনির যে আয়োজনে সাকিব এবং তাসকিন যোগ দিয়েছিলেন, সেই অনুষ্ঠানের নাম অ্যান এক্সক্লুসিভ ডিনার উইথ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট প্লেয়ার্স। ৯০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময়ে যে কারোর জন্য সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল।

এছাড়া, ১০ জন সদস্যদের জন্য ২০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময়ে একই টেবিলে সাকিব-তাসকিনের সঙ্গে একত্রে একান্তে সাক্ষাতের সুযোগও ছিল। সেই সঙ্গে ছিল ফটোসেশন এবং প্রোমো হাইলাইটের সুযোগও। শোনা যাচ্ছে সেখান থেকে সাকিবও মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন। যদিও সেই অর্থের পরিমাণ কী রকম এখনও তা জানা যায়নি।

সবমিলিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিসিবির দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ডের জবাব সাকিবকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডেই দিতে হবে। চোখের বদলে চোখ একদিন পুরো পৃথিবীকে অন্ধ করে দেবে, সাকিব কী এই প্রবাদ প্রতীম বাক্যও শোনেননি কখনো? টিনের চশমা পরে না থাকলে সাকিব নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন, প্রতিশোধ পরায়ণ এইনীতির খপ্পরে পড়ে বাংলার ক্রিকেটের এরইমধ্যে বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে। এখন কেবল কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া বাকি? কারণ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা নিয়েও এখন ভাবতে হয়, নেদারল্যান্ডসকে মনে হয় শক্ত প্রতিপক্ষ!  সাকিব কী জানেন না, তার কবলে পড়ে বিতর্কিত শব্দটাও এখন বিতর্কিত? 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর