১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:২৭

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় মহাকাশে আতঙ্ক সৃষ্টি, প্রাণ বাঁচাতে নভোচারীদের উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় মহাকাশে আতঙ্ক সৃষ্টি, প্রাণ বাঁচাতে নভোচারীদের উদ্বেগ

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় মহাকাশে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে রাশিয়া- এমন অভিযোগে প্রাণ বাঁচাতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে পৃথিবীতে ফেরার অপেক্ষায় ছিল মহাকাশচারীরা। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া কোনো ঘোষণা ছাড়াই গত সোমবার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে মহাকাশে। সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা একটি কৃত্রিম উপগ্রহকে। পরে সেই উপগ্রহের টুকরোগুলো ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে মহাকাশে। যা কক্ষপথে ২৭ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিবেগে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করে। 

নাসা জানিয়েছে, পরীক্ষার পরপরই পূবসতর্কতা হিসেবে নভোচারীদের মহাকাশ স্টেশনটিতে ভিড়িয়ে রাখা মহাকাশ যানের ক্যাপসুলগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নাসার মিশন কন্ট্রোল রুম থেকে এ খবর পেয়ে মহাকাশচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রাণ বাঁচাতে মহাকাশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে ৭ জন মহাকাশচারী চেপে বসেন পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য অপেক্ষারত মহাকাশযানে। নভোচারীদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকা, জাপান ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এসা)-র মহাকাশচারীরা।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকসমস’ চার দশক আগে পৃথিবীর কক্ষপথে একটি উপগ্রহ পাঠিয়েছিল। সেই উপগ্রহটির নাম ছিল ‘কসমস ১৪০৮’। সাবেক সোভিয়েত জামানায় উপগ্রহটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয় বিভিন্ন দেশের ওপর গোয়েন্দাগিরির জন্য। যদিও কয়েক দশক আগেই কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়ে অচল হয়ে পড়ে উপগ্রহটি। তা ধ্বংস করতেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রাশিয়া।

তবে নাসার অভিযোগ, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উপগ্রহটিকে উড়িয়ে দেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, চীন বা ইউরোপের কোনো দেশের মহাকাশ সংস্থাকেই জানায়নি রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এই ঘটনা আগামী দিনে মহাকাশে বিভিন্ন দেশের পেশী প্রদর্শন ও সমরসম্ভার পাঠানোর গোপন প্রস্তুতিতে আরও উৎসাহিত করবে।

এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবারের ওই পরীক্ষায় উৎপন্ন ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর নিম্ন-কক্ষপথে একটি আবর্জনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে আর তা আইএসএসকে বিপদগ্রস্ত করেছে এবং বছরের পর বছর ধরে মহাকাশ তৎপরতার ক্ষেত্রে বিপত্তি হিসেবে বিরাজ করবে।

বিডি প্রতিদিন/এএম

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর