বাংলাদেশ স্টেম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জাতীয় স্টেম প্রতিযোগিতা-২১’ এর পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে তিনটি দলকে তাদের গবেষণামূলক কনসেপ্টের জন্য পুরস্কার দেয়া করে।
বিজ্ঞানভিত্তিক আইডিয়াসহ প্রজেক্ট জমাদানকারী বিজয়ী তিন দলের নাম ঘোষণা করেন ডাক ও টেলি যোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে বুয়েট টিম, প্রথম রানার আপ রুয়েট টিম এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে চুয়েট টিম।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ফাহমিদা বলেন, স্টেম ফাউন্ডেশন ২০২০ সালে সারা দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে গবেষণামূলক কনসেপ্ট ও প্রজেক্ট আহ্বান করে। যাতে সাড়া দেয় শতাধিক টিম। যার মাধ্যমে ২৩৮টি প্রজেক্ট জমা পড়ে।২০৩০ সালের ১৭টি গোলের মধ্যে ১৩টি গোল বা লক্ষ্যমাত্রাকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছিল ন্যাশনাল স্টেম কম্পিটিশন। এতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে ক্ষুধা, দারিদ্র, পয়ঃনিষ্কাষন, বিশুদ্ধ পানির অভাব, জলবায়ু সমস্যা সমাধান, শিল্পায়ন, পরিকল্পিত নগরায়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষে তাদের আইডিয়া এবং প্রজেক্ট উপস্থাপন করে।’
সেসব প্রজেক্ট থেকে প্রাথমিকভাবে ৩৩টি প্রজেক্ট বাছাই করা হয়। সেই ৩৩টি থেকে চূড়ান্তভাবে তিনটিকে সেরা নির্বাচন করা হয়। এরপর করোনার ভয়াল থাবার কারণে দীর্ঘদিন পরে আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ী এসব দলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ স্টেম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং শিক্ষকরা বিজয়ী দলের সকল সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র তুলে দেন। এ ছাড়া দলগতভাবে প্রথম দল পেয়েছেন দুই লাখ টাকার চেক, প্রথম রানার আপ ১ লাখ ও দ্বিতীয় রানার আপ ৭৫ হাজার টাকার চেক পেয়েছেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল ওয়ালটন। এসময় আয়োজক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ও প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সকলকে ধন্যবাদ জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নুরুল আফসার চৌধুরী। এরপর তিনি ওয়ালটনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিষয়ক অডিও ভিজুয়াল আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ডাক ও টেলি যোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তানভীর হাসান, জিয়াউল হাসান, অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, অধ্যাপক আবদুল করিম, ড. আল নকীব চৌধুরী, ড. মহিদুস সামাদ খান, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত