১২ নভেম্বর, ২০২২ ১০:০৫

ইলন মাস্ক কেনার পর বিদ্বেষ বেড়েছে টুইটারে, দাবি রিপোর্টে

অনলাইন ডেস্ক

ইলন মাস্ক কেনার পর বিদ্বেষ বেড়েছে টুইটারে, দাবি রিপোর্টে

ইলন মাস্ক

মাত্র কিছু দিন হল বহুল জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটার কিনেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কিন্তু একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মালিকানা বদলের পরপরই এক ধাক্কায় ওই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক আক্রমণ বহু গুণ বেড়ে গেছে। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এই দাবি করেছে ‘সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট’ নামের সংস্থাটি।

ওই ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ সংস্থার গবেষকেরা জানান, চলতি বছরের বাকি মাসগুলোয় কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ যে পরিমাণে ছিল, গত কয়েক সপ্তাহে তা বেড়ে হয়েছে ২৬ হাজার গুণ। শুধু কৃষ্ণাঙ্গেরাই নন, টুইটারের বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন, রুপান্তরকামী এবং সমকামী পুরুষেরা। ছাড় পাচ্ছেন না ইহুদিরাও।

ওই সংস্থা জানায়, গত কয়েক সপ্তাহে গোটা বিশ্বে ইংরেজিতে করা মোট ৮০ হাজার টুইট ও সেগুলোর রিটুইট নিয়ে গবেষণা করেছে তারা। সেখানেই দেখা গেছে, ইংরেজিতে লেখা টুইটগুলোয় বিদ্বেষমূলক আক্রমণের পরিমাণ সব থেকে বেশি।

টুইটারে ছাঁটাই বিতর্কের মধ্যেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সংস্থার ‘ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি’ বিভাগের প্রধান ইয়োয়েল রথ। বস্তুত পদত্যাগ করার দিন কয়েক আগেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, এই ধরনের বিদ্বেষমূলক আক্রমণ সম্প্রতি বেড়েছে। তবে সেই সঙ্গেই তার দাবি ছিল, এই ধরনের টুইটে রাশ টানতে সংস্থাটি সম্প্রতি নানা সদর্থক পদক্ষেপও নিয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে দেড় হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, টুইটারের মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি মাস্ক। বরং জানিয়েছিলেন, তিনি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তিনি টুইটারের মালিকানা নেওয়ার পরে সংস্থার নানা নীতি পাল্টাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি মাস্ক। সূত্র: সিবিসি

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর