২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৬:৩৫

ইউরোপীয় কমিশনের নিষিদ্ধের পর টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু কানাডায়

অনলাইন ডেস্ক

ইউরোপীয় কমিশনের নিষিদ্ধের পর টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু কানাডায়

ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহের বিষয়ে টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কানাডার প্রাইভেসি কমিশন।

চীনা জায়ান্ট বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং এই প্ল্যাটফর্ম মূলত বেইজিংয়ের কাছে তথ্য হস্তান্তর নিয়ে তদন্তের মুখে পড়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনে কর্মরত কর্মীদের তাদের ফোন ও কর্পোরেট ডিভাইস থেকে টিকটক সরানোর নির্দেশের পর কানাডা এই পদক্ষেপ নিলো।

কানাডার প্রাইভেসি কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে, কুইবেক, ব্রিটিশ, কলম্বিয়া এবং অ্যালবার্টার প্রাদেশিক গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রকদের পাশাপাশি তারাও টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ক্লাস-অ্যাকশন মামলার পাশাপাশি টিকটকের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার ও প্রকাশ সম্পর্কিত অসংখ্য মিডিয়া প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

কানাডার প্রাইভেসি অথরিটির মতে, টিকটকের অনেক ব্যবহারকারীর বয়স কম এবং তাদের গোপনীয়তা রক্ষা জরুরি। সংস্থাটি তার স্বচ্ছতা বজায় রাখছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

টিকটকের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা কীভাবে কানাডিয়ানদের গোপনীয়তা রক্ষা করে, সে বিষয়ে রেকর্ড স্থাপনের একটি সুযোগ হবে এ তদন্ত।

এর আগে ইউরোপীয় কমিশনে বলেছিল, ‘ডেটা রক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি’র জন্য তারা টিকটক নিষিদ্ধ করেছেন। 

ইইউর মুখপাত্র সোনিয়া গোসপোডিনোভা বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে ইউরোপীয় কমিশনের কর্পোরেট ব্যবস্থাপনা বোর্ড, ইইউর নির্বাহী শাখা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপীয় কমিশনের কর্মীরা অফিস থেকে দেওয়া ফোনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফোনেও টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না। 

কমিশন বলেছে, তাদের প্রায় ৩২ হাজার স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রয়েছেন। তাদের অবশ্যই ১৫ মার্চের মধ্যে অ্যাপটি সরিয়ে ফেলতে হবে।  

গত জানুয়ারি মাসে নেদারল্যান্ডসও সরকারি কর্মকর্তাদের ফোন থেকে টিকটক অ্যাপ মুছে ফেলার পরামর্শ দেয়। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যও সরকারি ফোনে টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

সূত্র : বিবিসি

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর