২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১০:০১

বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে ডিপফেক ‘প্রেডাটর’! শিকার হতে পারে যে কেউ

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে ডিপফেক ‘প্রেডাটর’! শিকার হতে পারে যে কেউ

প্রতীকী ছবি

বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বজুড়ে আলোচনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই প্রযুক্তি। এটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে- এমন শঙ্কা আগে থেকেই করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অতীতে বিভিন্ন ঘটনায় তা প্রমাণও হয়েছে। এবার প্রকাশ্যে এলো আরো ভয়ঙ্কর তথ্য। এআই প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের হাইপার-রিয়ালিস্টিক প্রতিরূপ তৈরির প্রযুক্তি ডিপফেক ক্রমশ বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

স্পেনের বাদাহো প্রদেশে এআই দিয়ে তৈরি অপ্রাপ্তবয়স্কদের নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর ডিপফেকের ভয়াবহ প্রভাব আবারও সামনে এসেছে। 

২০১৯ সালে ডিপট্রেস নামক একটি প্রতিষ্ঠান ডিপফেক নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা ইন্টারনেটে প্রায় পাঁচ লাখ ভুয়া ফাইল খুঁজে পায়। কোম্পানিটির আগের প্রতিবেদনের তুলনায় ওই বছরের প্রতিবেদনে অনলাইনে ডিপফেক ছড়িয়ে পড়ার হার প্রায় শতগুণ বৃদ্ধি বলে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু এটি কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের তথ্য। ডিপফেক কনটেন্টের প্রকৃত পরিমাণ নিয়ে সম্যক ধারণা নেই। তবে জানা গেছে, ডিপফেক ভিডিও’র ৯৬ শতাংশ পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত। আর বর্তমানে ছবি, কণ্ঠস্বর, লেখা, নথিপত্র, ফেসিয়াল রেকগনিশন এবং এসবের সমন্বয় এআই দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।

ইউরোপিয়ান টেলিকমিউনিকেশনস স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট (ইটিএসআই) ভুয়া কনটেন্ট তৈরিতে এআই  ব্যবহারের ক্রমশ সহজলভ্যতার বিষয়ে সতর্ক করেছে। 

এক প্রতিবেদনে এটি জানিয়েছে, এআই ব্যবহার করে ব্যক্তির সম্মানহানি থেকে শুরু করে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা জনমত পরিবর্তনে প্রচারণা চালানো সবই করা সম্ভব।

বর্তমানে পর্নোগ্রাফি, জনমত বদলাতে ভুল তথ্য ছড়ানো, প্রকৃত কোনোকিছুকে ভুল প্রমাণ, ইন্টারনেট নিরাপত্তা আঘাত, নকল লেখক-অভিনেতা দিয়ে সিনেমা তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডিপফেকের বেশি ব্যবহার হচ্ছে। সূত্র: এল পাইস

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর