১৮ মে, ২০২৪ ১৭:১৯
জিএসএমএর মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট

এশিয়ায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা

অনলাইন ডেস্ক

এশিয়ায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা

মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ)। চলতি মাসে সংগঠনটি ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ প্রকাশ করেছে। তাতে জানা গেছে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মুঠোফোনে (মোবাইল) ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের নারীরা।

বাংলাদেশের ২৪ শতাংশ নারী মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ব্যবধানও চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশের নারীদের অনেকে অন্যের মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আবার অনেক নারী স্মার্টফোন থাকার পরও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না।

জিএসএমএ বলছে, বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ২৪ শতাংশ নারী মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এ হার ভারতে ৫৩ শতাংশ ও ৩৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৬৯ শতাংশ ও ৬৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫৩ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ।

সংগঠনটির মতে, নারীরা ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল। পুরুষের চেয়ে তাদের আগ্রহও বেশি। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। 

জিএসএমএ বলেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে নারী-পুরুষের ব্যবধান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি (৪০ শতাংশ।) ভারতে এ ব্যবধান ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৮ শতাংশ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ নারী ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানেন। এরপরও তারা তা ব্যবহার করেন না। 

জিএসএমএ বলছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে মুঠোফোনের মালিকানায় নারীরা পিছিয়ে। বিশেষ করে অস্বচ্ছল, পড়াশোনা না জানা এবং গ্রামাঞ্চলে বসবাস করা বা বিশেষভাবে সক্ষম নারীরা বেশি পিছিয়ে।

তাদের তথ্য মতে, বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারী মুঠোফোনের মালিক। মালিকানার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ব্যবধান ২০ শতাংশের কাছাকাছি। 

মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে জানেন বাংলাদেশের ৩৭ শতাংশ পুরুষ। নারীদের মধ্যে এ হার ২১ শতাংশ। জিএসএমএ’র মতে দেশে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারীর ৫৩ শতাংশ ও পুরুষের ৪৬ শতাংশ আরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর