১২ আগস্ট, ২০২৪ ১১:১৮

পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহাণু ও ধূমকেতু শনাক্তকারী টেলিস্কোপ নিওওয়াইজ ধ্বংসের পথে

অনলাইন ডেস্ক

পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহাণু ও ধূমকেতু শনাক্তকারী টেলিস্কোপ নিওওয়াইজ ধ্বংসের পথে

মহাবিশ্বের বিভিন্ন রহস্য উন্মোচনে নাসা বহু প্রকারের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। হাবল টেলিস্কোপ ও জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের নাম বেশি শোনা গেলেও, পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা গ্রহাণু ও ধূমকেতুর উপর নজর রাখার জন্য ব্যবহৃত হয় নিওওয়াইজ স্পেস টেলিস্কোপ। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নিরলস কাজ করে এসেছে এই নিওওয়াইজ স্পেস টেলিস্কোপটি। তবে নাসা জানিয়েছে, নিওওয়াইজ টেলিস্কোপের কার্যক্রম এবার স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হচ্ছে এবং টেলিস্কোপটিকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

নাসার তথ্য অনুসারে, নিওওয়াইজ (নেয়ার আর্থ অবজেক্ট ওয়াইড-ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে এক্সপ্লোরার) টেলিস্কোপটি প্রথমে মাত্র সাত মাসের জন্য মহাকাশে পাঠানো হলেও, এটি ১৫ বছর ধরে পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহাণু ও ধূমকেতু শনাক্ত করে এসেছে। এর মাধ্যমে ২৫টি নতুন ধূমকেতুসহ দুই শরও বেশি অজানা বস্তু শনাক্ত হয়েছে এবং প্রায় ৪৪ হাজার মহাজাগতিক বস্তুর তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যামি মেনজার লস জানিয়েছেন, নিওওয়াইজ টেলিস্কোপ তার জীবনকাল সম্পন্ন করেছে এবং এর চেয়ে বেশি কার্যকরী ফলাফল প্রদান করেছে। ২০০৯ সালে ওয়াইজ মিশন নামে মহাকাশে পাঠানো হয় নিওওয়াইজ টেলিস্কোপ। যদিও এটি মাত্র সাত মাসের জন্য পরিকল্পিত ছিল, টেলিস্কোপটি ২০১১ সাল পর্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করে নাসাকে সমৃদ্ধ করেছে।

টেলিস্কোপটির শেষ কাজ হবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধ্বংস হওয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৭ সালে নিওওয়াইজের চেয়েও শক্তিশালী একটি নতুন টেলিস্কোপ, ‘নিও সার্ভেয়ার’, মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর