বর্তমানে পেট্রোল, ডিজেলের দাম যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে পরিবেশদূষণের পরিমাণও। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের এমন এক গাড়ির প্রয়োজন ছিল যে গাড়ি পরিবেশবান্ধব হবে এবং তেলবিহীন চলবে। এমন স্বপ্নকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছে ভারতীয় নাগরিক বিলাল আহমেদ। উদ্ভাবক বিলাল কোনো বিজ্ঞানী নন। পেশায় একজন গণিতের শিক্ষক। ভারতের কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের সনত নগরের বাসিন্দা বিলাল আহমেদ এমন পরিবেশবান্ধব গাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা করেন ২০০৯ সালে। এই হিসাবে এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গাড়িটি বাস্তবে পরিণত করতে তার সময় লেগেছে প্রায় ১১ বছর। কাশ্মীরের আকাশ প্রায়ই মেঘাচ্ছন্ন থাকায় মৃদু সূর্যের আলোতে গাড়ি চালানোটার বিষয়টিকে তিনি চ্যালেঞ্জিং হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তখনই ভাবেন সোলার প্যানেলের কথা।
এই গাড়িতে কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে?
গাড়িটি সম্পূর্ণভাবেই বিদ্যুৎচালিত। মোনোক্রিস্টালাইন সোলার প্যানেল দিয়ে তৈরি। অপেক্ষাকৃত কম সূর্যের তাপেও এই গাড়ি বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে এর জন্য বিলাল এক বিশেষ ধরনের সোলার প্যানেল ব্যবহার করেছেন। গাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশটি হলো এর দরজা। সোলার প্যানেলটি দরজার উপরেই বসানো রয়েছে। আবিষ্কারক বিলাল বলেন, গাড়িতে মনোক্রিস্টালাইন সোলার প্যানেল প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়িটি বিদ্যুতে চলবে। তিনি আরও জানান, বিলাসবহুল গাড়ির সব ফিচারই আছে গাড়িতে। এই গাড়ির বনেট, ছাদে, সাইড গ্লাস এবং পেছনের কাচেও সোলার প্যানেল লাগানো আছে। তবে এর জন্য গাড়ির ডিজাইন যেন দেখতে খারাপ না হয় সেদিকেও রাখা হয়েছে সতর্ক দৃষ্টি। স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার পর বিলাল মনে করেন, ভারত সরকারের সহযোগিতা পেলে গাড়িটি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে রফতানিও করা যাবে। এই স্বপ্নও বাস্তবায়ন তিনি হবেন কাশ্মীরের ইলন মাস্ক। সূত্র : আনন্দবাজার