আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারো। যার উচ্চতা প্রায় ৫ হাজার ৮৯৫ মিটার। যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ ছিল কেবলই কল্পনা। এবার সেখানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তানজানিয়া সরকার। জানা গেছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ শেষ হবে এর কার্যক্রম। মূলত পর্বতারোহীদের যোগাযোগের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে পর্বতের একাংশ পর্যন্ত ইন্টারনেট চালু হয়েছে এবং এ বছর শেষ হওয়ার আগেই চূড়াতেও ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে তানজানিয়া সরকার।
দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইতোমধ্যে পর্বতের ৩ হাজার ৭২০ মিটার উচ্চতায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু করা হয়েছে। তানজানিয়া টেলিকমিউনিকেশন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে চলছে ইন্টারনেট সংযোগের কার্যক্রম। একে একটি ‘ঐতিহাসিক’ ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন তানজানিয়ার তথ্যমন্ত্রী নাপে নাউইয়ে। পর্বতারোহীরা যেন টুইট করে, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট এবং পর্বতারোহণের অভিজ্ঞতা তৎক্ষণাৎ শেয়ার করতে পারেন অথবা প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, সেই সেবা দিতেই পর্বতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তানজানিয়া সরকার। দেশটির তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব পর্বতারোহী এখন ৪ হাজার মিটার উচ্চতাতেও ইন্টারনেট সংযোগ পাবেন। ৫ হাজার ৮৯৫ মিটার উচ্চতার এ পর্বত চূড়ায় এ বছরের শেষ নাগাদ ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে যাবে।
কিলিমাঞ্জারোতে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া পৃথিবীর দুর্গম অঞ্চলগুলোকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার চেষ্টায় সাফল্য হিসেবে দেখছে গার্ডিয়ান। ফলে পর্বতারোহণের সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জরুরি সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। কিলিমাঞ্জারোতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়ার আগে পর্বতের দক্ষিণাংশে একটি কেবল কার নির্মাণের ঘোষণা দেয় তানজানিয়ার সরকার। তবে এর বিরোধিতা করেন পর্বতারোহী, পর্বতারোহণ অভিযান পরিচালনাকারী কোম্পানি এবং পরিবেশবাদীরা। উল্লেখ্য, তানজানিয়া ও প্রতিবেশী দেশ কেনিয়ার জন্য কিলিমাঞ্জারো গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস। প্রতিবছর প্রায় ৩৫ হাজার অভিযাত্রী এ পর্বতের চূড়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান