বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

জেমস ওয়েবে ধরা পড়ল ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’!

টেকনোলজি ডেস্ক

জেমস ওয়েবে ধরা পড়ল ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’!

একের পর এক ছবি তুলে বিজ্ঞানীদের তাক তালিয়ে দিচ্ছে অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব। এবার মহাকাশে পাঠানো যন্ত্রটি মহাকাশের সবচেয়ে সুন্দর ও বিস্ময়কর কিছু দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আরও একটি আইকনিক দৃশ্য ধারণ করেছে বিশ্বের বৃহত্তম এই টেলিস্কোপটি। যাতে উঠে এসেছে লাখ লাখ তারার বিন্দুশোভিত গ্যাস ও ধূলি বিশাল একটি অবকাঠামো, যাকে বিজ্ঞানীরা ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’ বলে অভিহিত করেন।

নাসার বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরত্বে বিশাল ‘ইগল নেবুলা’র মধ্যে দাঁড়ানো বিরাটকায় স্বর্ণ, তামা ও বাদামি রঙের সারি সারি দাঁড়ানো কলাম বা স্তম্ভগুলোর চমৎকার কিছু ছবি ধারণ করেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। তবে জেমস ওয়েবই প্রথম নয়, এর আগে ১৯৯৫ সালে ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’ নামে ওই কলামগুলোর প্রথম ছবি তুলেছিল নাসার হাবল স্পেপ টেলিস্কোপ। তবে ওয়েবের ইনফ্রারেড সক্ষমতার কারণে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ স্তম্ভগুলোর অস্বচ্ছতার মধ্য দিয়েও নতুন নক্ষত্রের গঠনের দিকটিও প্রকাশ করছে। জেমস ওয়েবের ছবিতে স্তম্ভগুলোর শেষ প্রান্তের আগ্নেয়গিরির লাভার মতো কালো কালো দাগ ও উজ্জ্বল লাল আলোও প্রকাশ পেয়েছে। নাসার মতে, লাল আলো ও কালো দাগগুলো মূলত এমন নক্ষত্র থেকে বেরিয়ে আসছে, যা এখনো গঠন হচ্ছে এবং এগুলোর বয়স মাত্র কয়েক লাখ বছর।’ ইউরোপিয়ান মহাকাশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক মার্ক মক্কাওঘরেন বলেন, ‘১৯৯০ সালে মাঝামাঝি থেকে আমি দ্য ইগল নেবুলা (নীহারিকা) নিয়ে কাজ করছি। আলোকবর্ষের ভিতর লম্ব স্তম্ভ দেখার চেষ্টা করেছি। এর ভিতর আমি তরুণ তারকাদের খুঁজছি। জানতাম জেমস ওয়েব সেটির ছবি তুলতে পারবে এবং এগুলো হবে অসাধারণ। জেমস ওয়েব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও কানাডার মহাকাশ সংস্থার যৌথভাবে পরিচালিত প্রকল্প। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মহাকাশে যাত্রা করে। এটাকে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।              

সর্বশেষ খবর